কোথায় যেন শুনেছিলাম আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়েছিল মাছ।উল্কা আর শিলা পড়ার ঘটনা তো খুবই স্বাভাবিক। এই আমাদের দেশেও নানা সময় শিলা বৃষ্টির দেখা মেলে। আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো ঝড়ে পড়ে খণ্ড খণ্ড বরফ। রাজশাহীতে তো একবার আধামণ ওজনের বরফ খণ্ড পড়ার কথাও জানা গিয়েছিল। ছোট হোক বড় হোক আকাশ থেকে সব সময় ঝড়ে পড়ে সাদা বরফ। কিন্তু এবার যে ঘটল ব্যতিক্র ঘটনা। আকাশ থেকে ঝড়ে পড়ল একেবারে নীল বরফ খণ্ড!!
বলা নেই কয়া নেই, সকালের রোদ–ঝলমলে আকাশ থেকেআচমকা আস্ত এক বরফের খণ্ড এসে পড়ল মাটিতে। তবেসেটা যে সে বরফের খণ্ড নয়, একেবারে নীল রঙের বরফ!আর আচমকা রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ থেকে নীল রঙেরবরফের খণ্ড মাটিতে এসে পড়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যছড়িয়েছে আমাদের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেরবৃহত্তর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়।

বাড়ির উঠোনে প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের একটা নীলরঙের বরফের খণ্ড পড়ে থাকতে দেখেন শফিক।প্রত্যক্ষদর্শী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বাইরেই ছিলাম।আচমকা আকাশ থেকে ওই নীল বরফের চাই পড়তে দেখিউঠোনে। যখন এই বরফের চাইটি এসে পড়ে, তখন বাইরেখটখটে রোদ্দুর এবং আকাশে বিন্দুমাত্র মেঘ ছিল না।’
আকাশ থেকে নীল বরফের খণ্ড পড়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেইদলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন পাকদহগ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে।
উঠোনে যে জায়গায় বরফের খণ্ডটি পড়েছে, সেই জায়গা এসিডে পোড়ার মতো কালো হয়ে গেছে।
খবর পেয়েই পুলিশের একটি টিম যায় পাকদহ গ্রামে শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। শাসন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (আইসি)নাসিম আখতার বলেন, ‘আমরা গিয়ে দেখতে পাই, নীল বরফের চাইটির অনেকটাই গলে গেছে। তবে বরফের চাইয়ের অবশিষ্টকিছু অংশ উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা। সেই অংশ পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কীভাবেসত্যিকারের আকাশ থেকে, নাকি কেউ চক্রান্ত করে এই ধরনের নীল বরফের চাই ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
No comments:
Post a Comment