আমাদের অফিসে আমরা তাদের বলি “মলম” পার্টি। না রাস্থাঘাটের ছিনতাই বাহিনীর মলম পার্টি না। এরা হলো দেশের মান-সম্মান লুটানোর মলম পার্টি। মানুষের চোখে মলম লাগিয়ে এরা দেশের মান-সম্মান বিক্রি করে দেয়। এরা হলো এক শ্রেনীর সাংবাদিক যারা বেশী ওয়েবসাইটে ক্লিকের আশায় পারলে নিজের মা-কেও বিক্রি করে দিতে পারবে নানা ভাবে। এসব সাংবাদিকদের আমরা নাম দিয়েছি “অনলাইন মলম পার্টি”। এদের কমন সেন্স এতটাই নীচু স্তরের আর চিন্তা ভাবনা এতটাই জঘন্য যে নিজেদের তথাকথিত “নিউজ” পোর্টালে বেশী ক্লিকের আশায় এরা নিজেদের মা-বোনদের নগ্ন ছবি তুলে এগুলো দিয়ে নিউজ বানিয়ে মানুষকে পড়াবে। আমরা এগুলোকে বলি ক্লিক-বেইট। আর এই মলম পার্টি এবার মেরে দিল পুরো বাংলাদেশের ইজ্জত তাও পবিত্র ঈদুল-আযহাকে কেন্দ্র করে। এমনকি বিদেশের নামকরা কিছু পত্রিকা যেমন “হাফিংটন পোস্টে” এও তাদের নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়ছে।
এবারের ঈদের দিনের কথাতো সবার খেয়াল আছে তাই না? কোরবানির মাংস খেয়ে এসে যখন ফেসবুকে ঢুকলেন তখন দেখলেন পুরো ফেসবুক কিছু ছবিতে রক্তাক্ত। রাস্তায় লাল রক্ত পানি চারিদিকে। বাংলাদেশের বেশীরভাগ অনলাইন পত্রিকা এই ছবিগুলো দিয়ে খবর পোস্ট করে বলেছে “ঢাকার অবস্থা এখন এই”। অথচ ছবিগুলো ছিল সব ঢাকার ছোট্ট একটা এলাকা শান্তিনগরের। কিন্তু খবর এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন পুরো ঢাকার একই অবস্থা। এসব অনলাইন পোর্টালের লিস্টে নামিদামী পোর্টালগুলোও বাদ যায়নি। আর যে ছবিগুলো দিয়ে নিউজ করা হয়েছে আর যেসব টাইটেল ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পুরো ব্যাপারটি অনলাইনে বিশবব্যাপী ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল এমনকি ট্রেন্ডিং এ ছিল প্রায় ২৪ ঘন্টা। আর এই ২৪ ঘন্টায় যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের ইজ্জত মেরে দেয়ার জন্য।
এবারের ঈদের দিনের কথাতো সবার খেয়াল আছে তাই না? কোরবানির মাংস খেয়ে এসে যখন ফেসবুকে ঢুকলেন তখন দেখলেন পুরো ফেসবুক কিছু ছবিতে রক্তাক্ত। রাস্তায় লাল রক্ত পানি চারিদিকে। বাংলাদেশের বেশীরভাগ অনলাইন পত্রিকা এই ছবিগুলো দিয়ে খবর পোস্ট করে বলেছে “ঢাকার অবস্থা এখন এই”। অথচ ছবিগুলো ছিল সব ঢাকার ছোট্ট একটা এলাকা শান্তিনগরের। কিন্তু খবর এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন পুরো ঢাকার একই অবস্থা। এসব অনলাইন পোর্টালের লিস্টে নামিদামী পোর্টালগুলোও বাদ যায়নি। আর যে ছবিগুলো দিয়ে নিউজ করা হয়েছে আর যেসব টাইটেল ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পুরো ব্যাপারটি অনলাইনে বিশবব্যাপী ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল এমনকি ট্রেন্ডিং এ ছিল প্রায় ২৪ ঘন্টা। আর এই ২৪ ঘন্টায় যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের ইজ্জত মেরে দেয়ার জন্য।
ঈদের দিন ঢাকায় অনেক ঝড় বৃষ্টি হয়েছিল এবং এটা বেশ বড় সড় ঝড় ছিল যে কারনে পানি আটকে যায় ঢাকার অনেক জায়গায়। আর এধরনের বৃষ্টি হলে শুধু ঢাকা না, দুনিয়ার অনেক উন্নত দেশের উন্নত শহরও পানিতে ভেসে যায়। ঢাকা কোন ছাড়। আর যেহেতু সেদিন কোরবানির ঈদ ছিল, শান্তিনগর এলাকায় পানি আটকে গিয়েছিল ভালভাবেই সেই সাথে কোরবানির পশুর রক্ত আর বর্জ্য মিশে একাকার। পানির রঙ হয়েছিল হালকা লাল। পরে হালকা ফটোশপে রঙটাকে আরেকটু লাল করার ব্যাপার তো ছিলই। কিন্তু সেই শান্তিনগর এলাকার রক্ত পানির খবর ছাপা হলো নামকরা সব পত্রিকায় অনেকটা এভাবে “ঢাকায় রক্তের নদী” আর সেই খবর ইংরেজীতে অনুবাদ হয়ে বিদেশী পত্রিকায় চলে গেল এভাবে “Rivers of Blood in Dhaka” আর বিবিসি, সিএনএন, এবিসি নিউজ এমনকি নিউইয়র্ক টাইমসেও সেই ছবি দিয়ে ছাপা হলো খবরগুলো। বিদেশী পত্রিকা ছবিগুলো লোকাল মিডিয়ার কাছ থেকে পেয়ে একেবারে লুফে নিল আর মেরে দিল বাংলাদেশের ইজ্জত।
এখানে দোষ আমি বিদেশী পত্রিকাগুলোকে দিব না। দিব দেশী সাংবাদিক নামের মলম পার্টিকে যারা এধরনের খবর বানিয়ে বেশী ক্লিকের আশায় অনলাইনে দিয়ে ফাটিয়ে ফেলে। কিন্তু এসব বেইজলেস নিউজ ছাপার আগে তারা একবারও চিন্তা করে না তারা আসলে করছেটা কি। হাফিংটন পোস্ট তাদের এক আর্টিকেলে এই বিষয়ে লিখেছে
“It is clear that waterlogging in a small part of Dhaka during the annual animal sacrifice is not as newsworthy a story as an entire city “stained red” or running with “revers if blood”. The grisly imagery is excellent clickbait and the media, from tabloids to reputed newspapers, knew it and capitalized on it. News outlests are desperate to attract readers to their online sites and the phrase “rivers of blood” makes a great bait.”
আমাদের দেশের কিছু মানুষের সাংবাদিকতা থুথু মারারও অযোগ্য। কিন্ত এসব সাংবাদিকদের নিয়েই চলছে দেশীয় পত্র-পত্রিকা। ক্লিক পড়লেই হলো তাদের আর কিছু লাগবে না। দরকার হলে মা-বোন বা দেশের ইজ্জতও বিক্রি দরে দিবে বেশী ক্লিকের আশায়। এদের আসলে ধরে জুতোর মালা গলায় পড়িয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘুরানো উচিত তাহলে এরা বুঝতে পারবে অনেক কিছু। তখন তাদের ছবি দিয়ে ক্লিক-বেইট টাইপের নিউজ দিয়ে সারা বাংলাদেশে ভাইরাল করার পর বুঝতে পারবে সাংবাদিকতা কি আর মান-সম্মান কি।
Dear “Molom Party” Journalists —–> Get a Fucking Life.
No comments:
Post a Comment