মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের অভিবাসীদের জন্য ই–মার্কেটপ্লেস ‘মাইক্যাশ অনলাইন’। মালয়েশিয়াপ্রবাসী দুই বাংলাদেশি মেহেদী হাসানও নুরুল হকের তৈরি এই সেবায় আন্তর্জাতিক টপআপ, বাসের টিকিট কাটা এবং বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা যায়। সম্প্রতিমালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘সিড স্টার মালয়েশিয়া’য় সেরা হয়েছে তাঁদের এই ‘মাইক্যাশ অনলাইন’।
স্থানীয় ব্যাংক কম টাকার অ্যাকাউন্ট চালাতে আগ্রহী নয়। কিন্তু অনেক অভিবাসীরই আয়ের পরিমাণ খুব কম। তাইবাংলাদেশিদের অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের বিকল্প পথে টাকা পাঠাতে হয়। ব্যাংকিংসুবিধাবঞ্চিত অভিবাসীদের অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু ‘মাইক্যাশ অনলাইন’–এর। প্রথম সেবাআন্তর্জাতিক টপআপ। প্রথমে ছিল মালয়েশিয়া থেকে মালয়েশিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টপআপ করারসুবিধা, যার সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ হয়েছে বাংলাদেশে। কুয়ালালামপুরে পাঁচটি এজেন্ট দোকানের মাধ্যমে চলতি বছরের ১এপ্রিল এই সেবা চালু হয়। প্রথম থেকেই বিপুল সাড়া পড়ে। এরই মধ্যে তাঁদের সেবায় যুক্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারেরমোবাইল নম্বর।
উচ্চশিক্ষার জন্য ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া যান মেহেদী হাসান। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে ভর্তি হন এশিয়া প্যাসিফিকইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশনে। মালয়েশিয়ায় অনেক অভিবাসী। ক্যাম্পাসের আশপাশেও কাজ করে এদেরঅনেকে। বাংলাদেশির সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।
শুরুতে এত বাংলাদেশি দেখে খুশি হলেও তাদের নানা সমস্যা জেনে একসময় মন খারাপ হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যাংক কম টাকারঅ্যাকাউন্ট চালাতে আগ্রহী নয়। এসব অভিবাসীর আয় খুব কম। তাই বাংলাদেশিদের অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেপারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের বিকল্প পথে টাকা পাঠাতে হয়।
পড়াশোনা শেষে মালয়েশিয়ায়ই চাকরি নেন মেহেদী। মালয়েশিয়ায় কর্মরত অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানে কিছু একটা করতেচাইতেন। এদিকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে কর্মরত নুরুল হক কম্পানির কাজের সূত্রে মালয়েশিয়া যান। পরিচয় হয় দুজনের।মেহেদীর ইচ্ছার কথা শুনে আগ্রহী হন নুরুল হক। দুজনে মিলে গত বছর নভেম্বরে ‘মাইক্যাশ অনলাইন’ নামে মালয়েশিয়ায় একটিব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেন।
বাজার গবেষণা করে তাঁরা জানতে পারেন, মালয়েশিয়ায় অভিবাসী আছে ৩৩ লাখ। এর মধ্যে ২২ লাখই অবৈধ। বেশির ভাগইকারখানা শ্রমিক। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ব্যাংকিং সুবিধা পায় না। মেহেদী হাসানের মতে, ‘ওরা ৫০ বছর পিছিয়ে।অনলাইন বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিছু করতে পারে না। টাকা জমানোর নিরাপদ উপায় নেই।’
তাছাড়া, মালয়েশিয়ায় সাধারণত দূরে কোথাও যেতে বাসের অগ্রিম টিকিট কাটতে হয়। স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে ঘণ্টাখানেকলাগে। বাড়তি খরচও হয়। অভিবাসীরা অনলাইনে টিকিট কাটায় অভ্যস্ত না হওয়ায় মাইক্যাশ অনলাইনে চালু হয় বাস টিকিটসার্ভিস। বাস টিকেটিং ছিল অনেক অভিবাসীর কাছে অবিশ্বাস্য। প্রিন্ট করা টিকিট হাতে পাওয়ার পরও তারা জানতে চাইত, ‘এদিয়ে বাসে চড়তে পারব?’
২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মাইক্যাশ অনলাইন। জনপ্রিয়তা পেয়েছে শুরু থেকেই। পাঁচটি এজেন্ট শপ দিয়েশুরু, এখন ২৬৬টি। বেশির ভাগই কুয়ালালামপুরভিত্তিক। এজেন্ট বাড়ানোর জন্য অভিবাসী বেশি আছে এমন এলাকাগুলোতেপ্রায়ই ভ্রমণ করেন দুজন। আবার এজেন্ট শপগুলো জনপ্রিয়তা পাওয়ায় তাঁদের অনেক বন্ধুও এজেন্ট হতে চান এখন।
সামাজিক ব্যবসার ধারণা থেকেই মেহেদী ও নুরুল হক আবেদন করেছিলেন আন্তর্জাতিক সিড স্টার প্রতিযোগিতায়। পৃথিবীর৫৫টি দেশে এই প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর ১ থেকে ৭ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্তপর্ব। একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর। বাছাইকৃত ১০টি ধারণাউপস্থাপন করা হয়। মাইক্যাশ মালয়েশিয়া ছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল স্থানীয়দের। সবাইকে ছাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দুইবাংলাদেশির উদ্যোগ।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আগামী মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় এশিয়ার বিজয়ীদের নিয়ে বুট ক্যাম্প এবং ২০১৭ সালে সুইজারল্যান্ডেআন্তর্জাতিক সিড স্টার প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবে এ উদ্যোগ।
স্থানীয় ব্যাংক কম টাকার অ্যাকাউন্ট চালাতে আগ্রহী নয়। কিন্তু অনেক অভিবাসীরই আয়ের পরিমাণ খুব কম। তাইবাংলাদেশিদের অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের বিকল্প পথে টাকা পাঠাতে হয়। ব্যাংকিংসুবিধাবঞ্চিত অভিবাসীদের অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু ‘মাইক্যাশ অনলাইন’–এর। প্রথম সেবাআন্তর্জাতিক টপআপ। প্রথমে ছিল মালয়েশিয়া থেকে মালয়েশিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টপআপ করারসুবিধা, যার সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ হয়েছে বাংলাদেশে। কুয়ালালামপুরে পাঁচটি এজেন্ট দোকানের মাধ্যমে চলতি বছরের ১এপ্রিল এই সেবা চালু হয়। প্রথম থেকেই বিপুল সাড়া পড়ে। এরই মধ্যে তাঁদের সেবায় যুক্ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারেরমোবাইল নম্বর।
উচ্চশিক্ষার জন্য ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া যান মেহেদী হাসান। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে ভর্তি হন এশিয়া প্যাসিফিকইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশনে। মালয়েশিয়ায় অনেক অভিবাসী। ক্যাম্পাসের আশপাশেও কাজ করে এদেরঅনেকে। বাংলাদেশির সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।
শুরুতে এত বাংলাদেশি দেখে খুশি হলেও তাদের নানা সমস্যা জেনে একসময় মন খারাপ হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যাংক কম টাকারঅ্যাকাউন্ট চালাতে আগ্রহী নয়। এসব অভিবাসীর আয় খুব কম। তাই বাংলাদেশিদের অনেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেপারছে না। বাধ্য হয়ে তাদের বিকল্প পথে টাকা পাঠাতে হয়।
পড়াশোনা শেষে মালয়েশিয়ায়ই চাকরি নেন মেহেদী। মালয়েশিয়ায় কর্মরত অভিবাসীদের সমস্যা সমাধানে কিছু একটা করতেচাইতেন। এদিকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে কর্মরত নুরুল হক কম্পানির কাজের সূত্রে মালয়েশিয়া যান। পরিচয় হয় দুজনের।মেহেদীর ইচ্ছার কথা শুনে আগ্রহী হন নুরুল হক। দুজনে মিলে গত বছর নভেম্বরে ‘মাইক্যাশ অনলাইন’ নামে মালয়েশিয়ায় একটিব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেন।
বাজার গবেষণা করে তাঁরা জানতে পারেন, মালয়েশিয়ায় অভিবাসী আছে ৩৩ লাখ। এর মধ্যে ২২ লাখই অবৈধ। বেশির ভাগইকারখানা শ্রমিক। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তারা ব্যাংকিং সুবিধা পায় না। মেহেদী হাসানের মতে, ‘ওরা ৫০ বছর পিছিয়ে।অনলাইন বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিছু করতে পারে না। টাকা জমানোর নিরাপদ উপায় নেই।’
তাছাড়া, মালয়েশিয়ায় সাধারণত দূরে কোথাও যেতে বাসের অগ্রিম টিকিট কাটতে হয়। স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে ঘণ্টাখানেকলাগে। বাড়তি খরচও হয়। অভিবাসীরা অনলাইনে টিকিট কাটায় অভ্যস্ত না হওয়ায় মাইক্যাশ অনলাইনে চালু হয় বাস টিকিটসার্ভিস। বাস টিকেটিং ছিল অনেক অভিবাসীর কাছে অবিশ্বাস্য। প্রিন্ট করা টিকিট হাতে পাওয়ার পরও তারা জানতে চাইত, ‘এদিয়ে বাসে চড়তে পারব?’
২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মাইক্যাশ অনলাইন। জনপ্রিয়তা পেয়েছে শুরু থেকেই। পাঁচটি এজেন্ট শপ দিয়েশুরু, এখন ২৬৬টি। বেশির ভাগই কুয়ালালামপুরভিত্তিক। এজেন্ট বাড়ানোর জন্য অভিবাসী বেশি আছে এমন এলাকাগুলোতেপ্রায়ই ভ্রমণ করেন দুজন। আবার এজেন্ট শপগুলো জনপ্রিয়তা পাওয়ায় তাঁদের অনেক বন্ধুও এজেন্ট হতে চান এখন।
সামাজিক ব্যবসার ধারণা থেকেই মেহেদী ও নুরুল হক আবেদন করেছিলেন আন্তর্জাতিক সিড স্টার প্রতিযোগিতায়। পৃথিবীর৫৫টি দেশে এই প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর ১ থেকে ৭ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্তপর্ব। একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে ১০ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১ অক্টোবর। বাছাইকৃত ১০টি ধারণাউপস্থাপন করা হয়। মাইক্যাশ মালয়েশিয়া ছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল স্থানীয়দের। সবাইকে ছাড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দুইবাংলাদেশির উদ্যোগ।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আগামী মাসে ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় এশিয়ার বিজয়ীদের নিয়ে বুট ক্যাম্প এবং ২০১৭ সালে সুইজারল্যান্ডেআন্তর্জাতিক সিড স্টার প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেবে এ উদ্যোগ।
No comments:
Post a Comment