Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Monday, October 17, 2016

সময় এখন বাংলাদেশের

ভূ-রাজনীতির জটিল সমীকরণের প্যাঁচে পড়ে বিশ্বশক্তিগুলোর দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। যে ভারত নিজেরদের দেশের দারিদ্র্যতা, অশিক্ষা আর কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ নিয়ে দুকছে, তারাও এখন বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়। যদিও সেটা নিজেদের দারিদ্র্যতার মতোই নীচু মানের সহায়তা কিংবা ঋণ।

জাপান তো পুরোনো দিনের বন্ধু, চীনের সহায়তাও আসছে বানের জলের মতো। রাশিয়া ইতোমধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের তোড়জোর করছে। আমেরিকা, চীন এবং ভারত গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে অবদান রাখতে এক পায়ে খাড়া। যে বিশ্বব্যাংক কদিন আগে পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় করল সে বিশ্বব্যা্ংকের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং বাংলাদেশে এসেছেন, এখানকার কোন কোন খাতে সহযোগিতা করা যায় তার তালিকা করতে!

নব্য পরাশক্তি প্রতিবেশী ভারত চাইছিল, ২ ‍বিলিয়ন ঋণ দিয়ে বাংলাদেশকে তার আঁচলে বেঁধে রাখার নিশ্চয়তা। কিন্তু চীনের ২৪ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার খবর শুনে এখন তাদের আবার ভিমড়ি খাওয়ার পালা। বাংলাদেশ গেল গেল বলে রব উঠেছে তাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। এতদিন তাদের বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশ ভারতের পূর্ণ অনুগত্যে চলে এসেছে। কিন্তু চীনেরওয়ান বেল্টওয়ান রোড’ প্রজেক্টে যুক্ত হয়ে বিশাল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশে লগ্নি হওয়াতে তাদের মধ্যে যেন হাহাকার পড়ে গেছে।

সব মিলিয়ে সময় এখন বাংলাদেশের। আমাদের প্রয়োজন শুধু বিশ্বশক্তিগুলোর চাহিদাকে হাতিয়ার বানানো। একই সাথে পরাশক্তিগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে রেখে নিজেদের ষোলআনা উসুল করে নেওয়া। একই সাথে এসব শক্তির ছোবল থেকে নিরাপদ দূরত্বও বজায় রাখতে হবে সচেতনভাবেই। তাহলে প্রমাণ হবে যে, সময় এখন বাংলাদেশের। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক শরীফুল হাসানের স্ট্যাটাসও অত্যন্ত চকমপ্রদ বার্তা বহন করে। তিনি লিখেছেন,

এই তো কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশকে ঋণের জন্য বিশ্বব্যাংকসহ নানা জায়গায় ছুটতে হতো আর এখন বিশ্বব্যাংকের প্রধানবাংলাদেশের পেছনে ছুটে

এক দশক আগেও সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, দাতা সংস্থাগুলোর কাছে গেলে ভিখারির মতো লাগে। আপনাদেরকী নে আছে বছর চারেক আগে পদ্মা সেতুর ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে কী না নাকানি চুবানি খাওয়ালো। আজকেবাংলাদেশ নিজের টাকায় পদ্মা সেতু রে আর বিশ্বব্যাংকের প্রধান ঢাকায় এসে কতো না প্রকল্পে ঋণ দিতে চায়অন্যদিকে চীন,জাপানরাশিয়াভারতযুক্তরাষ্ট্র সবাই এখন পরষ্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করছে কতো বেশি নিষ্ঠ হওয়া যায় বাংলাদেশের

এর নাম সময়। আসলেই সময় এখন বাংলাদেশের

No comments:

Post a Comment