পুলিশের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ নিরসনে সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রান্সের অন্যান্য নগরীতেও তারা বিক্ষোভ করে। এদিকে ফ্রান্সে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫শ’ কর্মকর্তা আইফেল টাওয়ারের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এসব কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ছিলেন সাদা পোশাক পরা এবং কিছু কর্মকর্তার মুখ ছিল আংশিক ঢাকা।
এ প্রসঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া প্রয়োজন।’
আসলে পশ্চিমাদের কাজকারবার পুরাই দেখছি উল্টা। তা নাহলে পুলিশ কর্তাদের আবার নিজেদের নিরাপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ করতে হয়? তাছাড়া যে দেশের পুলিশ অফিসারদের নিরাপত্তা থাকে না সে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবে পুলিশ?
এই বেটারা মনে হয় বাংলাদেশে আসা তো দূরে থাক কোনোদিন নামও শোনেনি। যদি শুনেই থাকত তাহলে তাদের এদেশের বাস্তবতা থেকে যে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে সেটা তারা ঠিকই বুঝতে পারত।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর ফ্রান্সের রাজধানীর উপকণ্ঠে এক বোমা হামলায় ২৮ বছর বয়সী এক পুলিশ কর্মকর্তা মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন। আর তা থেকেই শুরু হয়েছে বিপত্তি।
ফ্রান্সের পুলিশ ইউনিয়ন দেশের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার দাবি জানিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর জন্য সর্বনিম্ন সাজা নির্ধারণ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পুলিশ ইউনিয়ন ইতোমধ্যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনুভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এদিকে ওলাঁদ বলেছেন, তিনি আগামী সপ্তাহের শুরুতে পুলিশ ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
আমাদের দেশে শ্রমিক ইউনিয়ন, অমুক ইউনিয়ন, তমুক ইউনিয়নের নাম শোনা যায় তাই বলে পুলিশ ইউনিয়ন! না সে রকম তো শুনিনি কোনো দিন। অথচ ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশে পুলিশ ইউনিয়ন আছে এবং তারা পুলিশের দুঃখ-দুর্দশার কথা সরকারকে জানিয়ে দেন-দরবার করে তা সমাধানের জন্য!
পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নেই তাই তাদের রাজপথে বিক্ষোভ করতে হচ্ছে, তাদের সমস্যার কথা নিয়ে দেন-দরবার করার জন্য ইউনিয়ন করতে হচ্ছে- এইসব যদি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ভাবতে বসি তাহলে কেমন সব গোলমেলে ব্যাপার মনে হচ্ছে না?
No comments:
Post a Comment