চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। রক্তে রক্তে একেবারে রক্তাক্ত। শুধু রাস্তাঘাট না, ফেসবুকে ফিডও। কোরবানির পশু জবাই করার ছবি, কেউ ছোরা হাতে ছবি, কেউ রক্ত হাতে ছবি, কেউ কোরবানির পশুর গলায় ছুরি চালানো অবস্থায় ছবি – কি নেই! অবশ্য প্রতিবারই কোরবানির ঈদে আমাদের স্যোশাল মিডিয়াগুলো এভাবেই রক্তাক্ত হয়ে যায়। ফেসবুকে কোরবানির পশুর রক্তাক্ত ছবি দিলে কি এক্সট্রা পূন্য পাওয়া যায়? এ ব্যাপারে বিশদ কোন ধারনা নেই। তবে একটা কথা তো ছোটবেলা থেকে শিখেছি – ত্যাগ শো-অফ করলে ত্যাগ আর ত্যাগ থাকে না, ভোগ হয়ে যায়।
ফেসবুকের নিউজফিডের অবস্থা এমনই হয়ে আছে। ব্যাপারটা একটু ব্রুটালও বটে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এর বিশালতা বোঝার মত জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু এভাবে শো-অফ করার মানে কি? কোরবানির ঈদ তো ত্যাগের মহিমার ঈদ তাই না! এটাকে এভাবে শো-অফ করার কি আছে? তাও রক্তাক্ত ছবি দিয়ে? এটা কি কোন ক্রেডিট নাকি এক্সট্রা সওয়াব কামানোর উপায়? এভাবে কি ত্যাগ হয়?
আসলে আমরা এত বেশী স্যোশাল হয়ে গেছি এখন ফেসবুকের কল্যানে যে, একেবারে স্যোশালিজম মা-বাপকেও মেরে ফেলছি মনে হয়। এত বেশী শেয়ারিং আর কেয়ারিং হওয়া ভাল না। কোরবানির ঈদ কি একটু ভাব-গাম্ভীর্যে পালন করা উচিত না! নিজেদের ভেতর, আপনজনদের ভেতর রেখে? কোরবানি হওয়া পশুর জবাই করার ছবি দিয়ে কি আমরা ঈদকে নতুন আঙ্গিকে সেলিব্রেট করি। প্রিয় কোন পশুর কোরবানী দিয়ে এই ঈদ পালন করার নিয়ম জানতাম। তো, প্রিয় পশুর জবাই করার পর তামিল ছবির ভিলেনের মত ছোরা-রক্ত হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে সবার সাথে দিয়ে কি একেবারে বেহেশতে যাবার ডিরেক্ট লাইন পাওয়া যাচ্ছে? ছবি তো ছবি, আজ অলস সময়ে সকালে ফেসবুকে ঢুকে দেখি গরু জবাই করার ভেশ কয়েকটা লাইভ ভিডিও!! হাসব না কাঁদব সেই মুহুর্তে চিন্তা করছিলাম। ব্যাপারগুলো কি একটু ভালগার না?
আমরা কি একটু কন্ট্রোল্ড হতে পারি না? ত্যাগ তো ত্যাগই তাই না? বুঝলাম সবার শেয়ার করার, মত প্রকাশ করার, যা খুশী তা করার অধিকার আছে অনলাইনে কিন্তু একটু মনে হয় নিজেদের নিয়ন্ত্রন করা দরকার। এমন পাইকারী হারে ভালগার হয়ে যাওয়া কি আর কোন দেশে আছে? কখনও দেখেছেন? একমাত্র আমাদের দেশেই আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই অভ্যাস আসলেই ত্যাগ করা উচিত।
স্মার্টনেসেরও একটা লিমিট আছে। এরকম ভালগার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে স্যোশাল নেটওয়ার্ককে ভালগার রক্তাক্ত করে দেয়া মানে কোন স্মার্টনেস না বা শেয়ারিং কেয়ারিং না। বরং নিজের ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়। যারা এসব করছেন, দয়া করে এসব এবার বাদ দেন। কদিন পরে আপনারা নিজেদের বাথরুম করা অবস্থার ছবি পোস্ট করে বলবেন “ফিলিং অসাম”। বাদ দেন এসব ভাই। একটু মানুষ হন।
ফেসবুকের নিউজফিডের অবস্থা এমনই হয়ে আছে। ব্যাপারটা একটু ব্রুটালও বটে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এর বিশালতা বোঝার মত জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু এভাবে শো-অফ করার মানে কি? কোরবানির ঈদ তো ত্যাগের মহিমার ঈদ তাই না! এটাকে এভাবে শো-অফ করার কি আছে? তাও রক্তাক্ত ছবি দিয়ে? এটা কি কোন ক্রেডিট নাকি এক্সট্রা সওয়াব কামানোর উপায়? এভাবে কি ত্যাগ হয়?
আসলে আমরা এত বেশী স্যোশাল হয়ে গেছি এখন ফেসবুকের কল্যানে যে, একেবারে স্যোশালিজম মা-বাপকেও মেরে ফেলছি মনে হয়। এত বেশী শেয়ারিং আর কেয়ারিং হওয়া ভাল না। কোরবানির ঈদ কি একটু ভাব-গাম্ভীর্যে পালন করা উচিত না! নিজেদের ভেতর, আপনজনদের ভেতর রেখে? কোরবানি হওয়া পশুর জবাই করার ছবি দিয়ে কি আমরা ঈদকে নতুন আঙ্গিকে সেলিব্রেট করি। প্রিয় কোন পশুর কোরবানী দিয়ে এই ঈদ পালন করার নিয়ম জানতাম। তো, প্রিয় পশুর জবাই করার পর তামিল ছবির ভিলেনের মত ছোরা-রক্ত হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে সবার সাথে দিয়ে কি একেবারে বেহেশতে যাবার ডিরেক্ট লাইন পাওয়া যাচ্ছে? ছবি তো ছবি, আজ অলস সময়ে সকালে ফেসবুকে ঢুকে দেখি গরু জবাই করার ভেশ কয়েকটা লাইভ ভিডিও!! হাসব না কাঁদব সেই মুহুর্তে চিন্তা করছিলাম। ব্যাপারগুলো কি একটু ভালগার না?
আমরা কি একটু কন্ট্রোল্ড হতে পারি না? ত্যাগ তো ত্যাগই তাই না? বুঝলাম সবার শেয়ার করার, মত প্রকাশ করার, যা খুশী তা করার অধিকার আছে অনলাইনে কিন্তু একটু মনে হয় নিজেদের নিয়ন্ত্রন করা দরকার। এমন পাইকারী হারে ভালগার হয়ে যাওয়া কি আর কোন দেশে আছে? কখনও দেখেছেন? একমাত্র আমাদের দেশেই আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই অভ্যাস আসলেই ত্যাগ করা উচিত।
স্মার্টনেসেরও একটা লিমিট আছে। এরকম ভালগার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে স্যোশাল নেটওয়ার্ককে ভালগার রক্তাক্ত করে দেয়া মানে কোন স্মার্টনেস না বা শেয়ারিং কেয়ারিং না। বরং নিজের ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়। যারা এসব করছেন, দয়া করে এসব এবার বাদ দেন। কদিন পরে আপনারা নিজেদের বাথরুম করা অবস্থার ছবি পোস্ট করে বলবেন “ফিলিং অসাম”। বাদ দেন এসব ভাই। একটু মানুষ হন।
No comments:
Post a Comment