আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ঘিরে এখন সর্বত্র সাজ সাজ রব। রাজধানী ঢাকা তো সেজেছে বলতে গেলে রাজকীয় বিয়ে বাড়ির আদলে। যাইহোক সবার দৃষ্টি এখন দেশের প্রাচীন দলটির নেতৃত্বে নতুন কারা কারা আসছেন সেই দিকে। সভাপতি পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বিদায়, সেটা নিয়ে কারো ভাবনাও নেই। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা কিংবা আসলে কে হতে পারেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে এরি মধ্যে আমাদের ফাটা কেষ্ট খ্যাত মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হতে যাওয়ার খবরটি ভাইরাল হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হওয়ার খবরটি ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি জানা গেছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হচ্ছে। এসব খবর কতটা নির্ভরযোগ্য, কিংবা আদোও সত্য কিনা সেটা তো ২৩ অক্টোবর দিন শেষে সবাই জানতে পারবেন। কিন্তু এই মুহুর্তে ওবায়দুল কাদের এসব খবর নিয়ে কি ভাবছেন সেটা জানতে গেলে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘আকাশে চাঁদ উঠলে তখন দেখা যাবে।’ তাতো অবশ্যই।
এ কথা সত্য যে, ওবায়দুল কাদের একজন অত্যন্ত চৌকস এবং কারিশ্মাটিক নেতা। মন্ত্রণালয়ের এসি রুমে বসে অফিস করার চেয়ে মাঠে-ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করতেই বেশি পছন্দ করেন। অনেক সময় তার ফলও হাতেনাতে পাওয়া যায় বলে সাধারণ মানুষের মাঝে তাঁর পরিচয় হলো ‘আমাদের ফাটা কেষ্ট’। কিন্তু যত চৌকসই হোন না কেন রাস্তায় অর্থাৎ নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় তিনি যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। যা সম্প্রতি নিজেই মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে গাড়ি চালকদের উপর উনার মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কতটা আছে তা প্রায় প্রতিটি যাত্রীরই বোধগম্য।
মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নানা চেষ্টা-তদবির করছেন কিন্তু ঢাকার যানজট কমেনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেইন (যদিও একটি পুরানো প্রকল্প) করেছেন, অথচ যানজট মুক্ত করা যায়নি। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় কয়েক দফায় ৬ মাস করে সময় দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কিন্তু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সে আল্টিমেটামকে থোড়াই কেয়ার করেছেন। সম্ভবত সে কারণেই তিনি এখন আর সে পথ মাড়ান না। যার ফলে, এই ফ্লাইওভার কবে নাগাদ নির্মাণ শেষ হবে তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী যতটা গজরাচ্ছেন, ততটা বর্ষণ আসলে হচ্ছে না। এটা হতে পারে সিস্টেমের সমস্যার কারণে কিংবা সমস্যা আছে অন্য কোথাও। সে যাইহোক, ভাইরাল হওয়া খবর সঠিক হলে তিনিই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। আর দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বছরের পর বছর যোগাযোগ রক্ষা করার কারণেই ওয়াবদুল কাদেরকে শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশের রাজনীতিতে এখন একটা গোমট অবস্থা বিরাজ করছে। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে নির্জীব হয়ে পড়ে আছে বিএনপি। এই অবস্থা বহাল থাকলে আওয়ামী লীগের পোয়াবারো, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কোনো কারণে অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে একটা রাজনৈতিক ঝড়ের কবলে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। যেমন- এক ঝড়ের মধ্যে দিশা হারিয়ে ফেলেছিলেন বিএনপির মান্নান ভূইয়া। তাই একটি প্রশ্ন সামনে এসেই যায়, তেমন কোনো ঝড়ের মোকাবিলায় ফাটা কেষ্ট খ্যাত ওবায়দুল কাদের দলের হাল ঠিক মতো সামলাতে পারবেন তো?
ইতোমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হওয়ার খবরটি ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি জানা গেছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হচ্ছে। এসব খবর কতটা নির্ভরযোগ্য, কিংবা আদোও সত্য কিনা সেটা তো ২৩ অক্টোবর দিন শেষে সবাই জানতে পারবেন। কিন্তু এই মুহুর্তে ওবায়দুল কাদের এসব খবর নিয়ে কি ভাবছেন সেটা জানতে গেলে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘আকাশে চাঁদ উঠলে তখন দেখা যাবে।’ তাতো অবশ্যই।
এ কথা সত্য যে, ওবায়দুল কাদের একজন অত্যন্ত চৌকস এবং কারিশ্মাটিক নেতা। মন্ত্রণালয়ের এসি রুমে বসে অফিস করার চেয়ে মাঠে-ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করতেই বেশি পছন্দ করেন। অনেক সময় তার ফলও হাতেনাতে পাওয়া যায় বলে সাধারণ মানুষের মাঝে তাঁর পরিচয় হলো ‘আমাদের ফাটা কেষ্ট’। কিন্তু যত চৌকসই হোন না কেন রাস্তায় অর্থাৎ নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় তিনি যথাযথ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। যা সম্প্রতি নিজেই মিডিয়ার সামনে স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে গাড়ি চালকদের উপর উনার মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কতটা আছে তা প্রায় প্রতিটি যাত্রীরই বোধগম্য।
মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নানা চেষ্টা-তদবির করছেন কিন্তু ঢাকার যানজট কমেনি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেইন (যদিও একটি পুরানো প্রকল্প) করেছেন, অথচ যানজট মুক্ত করা যায়নি। রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় কয়েক দফায় ৬ মাস করে সময় দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কিন্তু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সে আল্টিমেটামকে থোড়াই কেয়ার করেছেন। সম্ভবত সে কারণেই তিনি এখন আর সে পথ মাড়ান না। যার ফলে, এই ফ্লাইওভার কবে নাগাদ নির্মাণ শেষ হবে তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ জানেন কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী যতটা গজরাচ্ছেন, ততটা বর্ষণ আসলে হচ্ছে না। এটা হতে পারে সিস্টেমের সমস্যার কারণে কিংবা সমস্যা আছে অন্য কোথাও। সে যাইহোক, ভাইরাল হওয়া খবর সঠিক হলে তিনিই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। আর দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বছরের পর বছর যোগাযোগ রক্ষা করার কারণেই ওয়াবদুল কাদেরকে শেখ হাসিনা সাধারণ সম্পাদক করার সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশের রাজনীতিতে এখন একটা গোমট অবস্থা বিরাজ করছে। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে নির্জীব হয়ে পড়ে আছে বিএনপি। এই অবস্থা বহাল থাকলে আওয়ামী লীগের পোয়াবারো, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কোনো কারণে অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে একটা রাজনৈতিক ঝড়ের কবলে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। যেমন- এক ঝড়ের মধ্যে দিশা হারিয়ে ফেলেছিলেন বিএনপির মান্নান ভূইয়া। তাই একটি প্রশ্ন সামনে এসেই যায়, তেমন কোনো ঝড়ের মোকাবিলায় ফাটা কেষ্ট খ্যাত ওবায়দুল কাদের দলের হাল ঠিক মতো সামলাতে পারবেন তো?
No comments:
Post a Comment