Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Wednesday, October 19, 2016

কিভাবে “জঙ্গীদের” ফিরিয়ে আনা যায়?

ঠিক কত পরিবারের সন্তান এই মুহুর্তে নিখোজ সেই সংখ্যা নিয়ে এখনও কনফিউশন থাকলেও অন্তত এটা বোঝা যাচ্ছে যে সেই সংখ্যা নেহাত কম নয়। ভুল পথে চলে যাওয়া তরুনদের কথা বলছি যারা এখন আইএস জঙ্গীতে রুপান্তরিত হয়েছে। তার মানে দেশে যেকোন মূহুর্তে জঙ্গী হামলার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। এই ভুলপথে চলে যাওয়া এসব তরুনদের কিভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় এ ব্যাপারে কিন্তু খুব একটা প্রয়াস দেখা যাচ্ছে না।

আমাদের আগে ঠিক করতে হবে জঙ্গীদের দমন করতে হবে নাকি শোধরাতে হবে? যদি শোধরানোর কোন সুযোগ থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই সেটি একবার চেষ্টা করে দেখা উচিত। “জঙ্গীত্ত” থেকে ফিরে আসলে দশ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষনা করেছে কিছুদিন আগে কিন্তু আসলে এটা কতটুকু কার্যকর সে নিয়ে একটা সংশয় তো আছেই। যেমন ধরুন, একটা ছেলে ভুল পথে চলে গিয়ে আইএস এর সাথে ভিড়েছে। এখন সে একজন জংগী যে অপেক্ষা করছে বড় কোন অঘটন ঘটাতে। হঠাত করে তার শুভবুদ্ধির উদয় হলো কোন কারনে এবং সে এখন ফিরে আসতে চায় নিজের ঘরে। সেক্ষেত্রে আসলে তার করনীয় কি হবে? কারন সে ফিরে আসার পর তার কাছ থেকে তথ্য নেয়ার জন্য প্রশাসন উঠে পড়ে লাগবে। এটাই স্বাভাবিক – কারন নিরাপত্তা বলে কথা। যদি সে জীবিত অবস্থায় ফিরে এসে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করে তাহলে সে হয়ে যাবে আইএস এর শত্রু। স্বাভাবিকভাবেই সন্ত্রাসী দল তাকে বা তার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে তার নিরাপত্তা কি?

কিভাবে একজন জঙ্গী সুপথে ফিরে আসতে পারবে বা তাদের কিভাবে শোধরানোর সুযোগ দেয়া হবে এ ব্যাপারে কোন একটা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকা দরকার। এতে করে হয়তো অনেকেই নিজে থেকেই এসে ধরা দিবে। মনে রাখতে হবে, এদের ব্রেইনওয়াশ করে, হয়তো কোন ড্রাগ দিয়ে বা অন্যান্য উপায়ে আইএস এ যোগদান করানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ফিরে আসা তরুনদের জন্য বা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চাইলে কোন উদ্যোগ নিতে পারে। এই মুহুর্তে আসলে ভূল পথে কতজন চলে গেছে তার নির্দিষ্ট কোন হিসেব নেই। কারন কেউ কপালে লিখে বেড়ায় না সে একজন জংগী বা আলাদা করে চেনার কোন উপায় নেই। যারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আবার সাধারন জীবনে ফিরে আসতে চায় তাদের জন্য হয়তো কিছু একটা করার থাকে। তাদের যদি পর্যাপ্ত চিকিতসা, নিরাপত্তা দেয়া হয়, তারা কি ফিরে আসবে? নিখোজদের মধ্যে কেই না কেউ তো আছে এরকমটা ভাবছে। এই মিহুর্তে যেহেতু কোন গাইডলাইন নাই, সেহেতু কারো ফিরে আসার কোন চান্স নেই। ফিরে আসলেও বিপদ আবার না আসলেও বিপদ টাইপের একটা অবস্থা হয়ে আছে। এদের সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য হয়তো কোন চেষ্টা করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ অনেক ব্লাড-শেড কমাবে আর অনেক হামলাও হয়তো ঠেকানো সম্ভব। ব্রেইনওয়াশ যদি তাদের করা যায় তাহলে রিভার্স ওয়াশও করা যাবে।

আপনাদের কি মতামত? জঙ্গীদের কি দমন করতে হবে নাকি শোধরাতে হবে? কোনটি বেশী কার্যকর দীর্ঘমেয়াদী চিন্তায়?

No comments:

Post a Comment