সন্তানের কাছে বাবার কোনো তুলনা নেই। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবা মানেই নির্ভরতার প্রতীক আর নিঃসীমনিরাপত্তার চাদর। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা এতটাই স্বার্থহীন যে, সন্তানের জন্য নিজের প্রাণ দিতেও তারা কুণ্ঠবোধ করেননা।
কবি গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ কবিতা তো আমরা পড়েছি।সেখানে ফুটে উঠেছে, পিতৃস্নেহের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।মোগলসম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুন কঠিন রোগে আক্রান্ত। তিনি আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধন নিজের জীবনের বিনিময়ে পুত্রের জীবনভিক্ষা চাইলেন। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন। পিতৃস্নেহের কাছে মরণের পরাজয় ঘটল।
বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য নজির আছে, যা কিনা পিতৃস্নেহকে অনন্য আলোয় আলোকিত করে রেখেছে।গত ১০ অক্টোবর সোমবার নিজের জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে এমনই আরেক নজির স্থাপন করেছেন চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের এক পিতা।সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে যা এখন আলোচিত ঘটনা।যারাই পড়ছেন এ ঘটনার বিবরণ, তারাই শ্রদ্ধায় মাথানত করছেন নিজের জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষাকারী এই পিতার প্রতি।
সোমবার দিবাগত রাতে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের অয়েনঝাউ শহরে একটি ভবনধসের ঘটনায় ২২ জন মারা গেছেন।ছয়তলা আবাসিক ভবনটি ধসে পড়ার মুহূর্তে নিজের শিশুসন্তানকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বাবা। কংক্রিটের পিলার, দেয়ালেরখণ্ডাংশ ভেঙে পড়ে তাঁদের ওপর।এতে বাবা মারা যান। তবে বাবার আলিঙ্গনে থেকে বেঁচে গেছে তিন বছরের সেই শিশুটি। আরভবনধসের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
খবরে বলা হয়, শিশুটিসহ মাত্র পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে ওই ভবন থেকে। ছোট্ট মেয়েশিশুটি বাবার আলিঙ্গনে থাকারকারণে রক্ষা পেয়েছে। ধসে পড়া ভবন থেকে শিশুটিকে শেষ জীবিত প্রাণ হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটি ধসের ১২ ঘণ্টারবেশি সময় পর ধ্বংসস্তূপের একেবারে ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তিন বছর বয়সী উ নিংঝিকে তার বাবা জড়িয়ে রাখায় সে সামান্য আঘাত পেয়েছে। বাসার শোবার ঘরে মেয়েকে জড়িয়ে রাখাঅবস্থায় বাবাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষের ছাদ ভেঙে পড়া কংক্রিটের খণ্ড থেকে বাঁচাতে তিনিনিজের শরীর দিয়ে সন্তানকে ঢালের মতো আগলে রেখেছিলেন।আর অদূরেই পড়ে ছিল শিশুটির মায়ের মৃতদেহ।
একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, ‘শিশুটি বেঁচে গেছে তার বাবার কারণে।২৬ বছর বয়সী এই বাবা নিজের রক্ত–মাংস দিয়েশিশুকন্যার জন্য বেঁচে থাকার উপযোগী স্থান তৈরি করে রেখেছিলেন।’
আসলে বাবারা তো এমনই হন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে গড়ে দেন সন্তানের জীবন। কখনো কখনো-বা সন্তানের জন্য নিজের জীবনটাকেই বিলিয়ে দেন।আমার বাবাও তো ঠিন এমনই বাবা, তাই না?কিন্তু যে বাবা আমার জীবনকে গড়ে দিলেন, পথ দেখালেন তার প্রতি আমি কতটা দায়িত্ব পালন করছি, সেটা কি একবার চিন্তা করে দেখতে পারি না?
কবি গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ কবিতা তো আমরা পড়েছি।সেখানে ফুটে উঠেছে, পিতৃস্নেহের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।মোগলসম্রাট বাবরের পুত্র হুমায়ুন কঠিন রোগে আক্রান্ত। তিনি আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ধন নিজের জীবনের বিনিময়ে পুত্রের জীবনভিক্ষা চাইলেন। আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন। পিতৃস্নেহের কাছে মরণের পরাজয় ঘটল।
বিশ্বজুড়ে এমন অসংখ্য নজির আছে, যা কিনা পিতৃস্নেহকে অনন্য আলোয় আলোকিত করে রেখেছে।গত ১০ অক্টোবর সোমবার নিজের জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে এমনই আরেক নজির স্থাপন করেছেন চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের এক পিতা।সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে যা এখন আলোচিত ঘটনা।যারাই পড়ছেন এ ঘটনার বিবরণ, তারাই শ্রদ্ধায় মাথানত করছেন নিজের জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষাকারী এই পিতার প্রতি।
সোমবার দিবাগত রাতে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের অয়েনঝাউ শহরে একটি ভবনধসের ঘটনায় ২২ জন মারা গেছেন।ছয়তলা আবাসিক ভবনটি ধসে পড়ার মুহূর্তে নিজের শিশুসন্তানকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বাবা। কংক্রিটের পিলার, দেয়ালেরখণ্ডাংশ ভেঙে পড়ে তাঁদের ওপর।এতে বাবা মারা যান। তবে বাবার আলিঙ্গনে থেকে বেঁচে গেছে তিন বছরের সেই শিশুটি। আরভবনধসের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
খবরে বলা হয়, শিশুটিসহ মাত্র পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে ওই ভবন থেকে। ছোট্ট মেয়েশিশুটি বাবার আলিঙ্গনে থাকারকারণে রক্ষা পেয়েছে। ধসে পড়া ভবন থেকে শিশুটিকে শেষ জীবিত প্রাণ হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনটি ধসের ১২ ঘণ্টারবেশি সময় পর ধ্বংসস্তূপের একেবারে ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তিন বছর বয়সী উ নিংঝিকে তার বাবা জড়িয়ে রাখায় সে সামান্য আঘাত পেয়েছে। বাসার শোবার ঘরে মেয়েকে জড়িয়ে রাখাঅবস্থায় বাবাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষের ছাদ ভেঙে পড়া কংক্রিটের খণ্ড থেকে বাঁচাতে তিনিনিজের শরীর দিয়ে সন্তানকে ঢালের মতো আগলে রেখেছিলেন।আর অদূরেই পড়ে ছিল শিশুটির মায়ের মৃতদেহ।
একজন উদ্ধারকর্মী বলেছেন, ‘শিশুটি বেঁচে গেছে তার বাবার কারণে।২৬ বছর বয়সী এই বাবা নিজের রক্ত–মাংস দিয়েশিশুকন্যার জন্য বেঁচে থাকার উপযোগী স্থান তৈরি করে রেখেছিলেন।’
আসলে বাবারা তো এমনই হন। নিজের সর্বস্ব দিয়ে গড়ে দেন সন্তানের জীবন। কখনো কখনো-বা সন্তানের জন্য নিজের জীবনটাকেই বিলিয়ে দেন।আমার বাবাও তো ঠিন এমনই বাবা, তাই না?কিন্তু যে বাবা আমার জীবনকে গড়ে দিলেন, পথ দেখালেন তার প্রতি আমি কতটা দায়িত্ব পালন করছি, সেটা কি একবার চিন্তা করে দেখতে পারি না?
No comments:
Post a Comment