বাংলাদেশ থেকে পাটখড়ির ছাই রপ্তানি হচ্ছে। ব্যতিক্রম এ পণ্যের রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। আর সে কারণে বাড়ছে ছাইউৎপাদনের কারখানাও। পাটখড়ি বা পাটকাঠির ছাই অ্যাক্টিভেটেড চারকোল নামেও পরিচিত।বাংলাদেশ থেকে পাটখড়িরছাইয়ের প্রধান আমদানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। তাইওয়ান, ব্রাজিলেও এটি রপ্তানি হচ্ছে। এর বড় বাজার রয়েছে মেক্সিকো,যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, ব্রাজিল, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে।
ফলে পাটকাঠি থেকে তৈরি অ্যাকটিভেটেড চারকোল বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা পাটউৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে। এভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবেব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছরপ্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টিহবে।
দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথমচীনে এ পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লেআগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলরপ্তানি সম্ভব হবে।
জানা গেছে, বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফেসওয়াস, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধ। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাট দিয়ে চট, বস্তা, কাপড়, কার্পেট তৈরি হলেও পাটখড়ি এত দিন গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করার কাজে এবং ঘরের বেড়াদেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হতো। দেশের পার্টিকেল বোর্ড কারখানাগুলোতেও উপকরণ হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহৃত হয়। কিন্তুপাটখড়িকে ছাই বানিয়ে তা রপ্তানির পথ দেখান ওয়াং ফেই নামের চীনের এক নাগরিক। তা–ও মাত্র চার বছর আগে। আর এইচার বছরের ব্যবধানে দেশে ছাই উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠেছে ২৫টি।
‘গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি’ আখ্যা দিয়ে পাটখড়ির ছাই উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার ইতিবাচক। সম্প্রতি পাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কিছু উদ্যোগ রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়েরও।ইতিমধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে ছাই উৎপাদন ও রপ্তানি–বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেছে এ মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত জুলাইয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, পাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০১৫–১৬ অর্থবছরে ৫৪ কোটি টাকা রপ্তানি আয়হয়েছে। তবে বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (প্রস্তাবিত) সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবে এ খাত থেকে বর্তমানেবৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। আর সহজেই আয় হওয়া সম্ভব বছরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
ফলে পাটকাঠি থেকে তৈরি অ্যাকটিভেটেড চারকোল বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে কৃষকরা পাটউৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে। এভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবেব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছরপ্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টিহবে।
দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথমচীনে এ পণ্য রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে। দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লেআগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলরপ্তানি সম্ভব হবে।
জানা গেছে, বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফেসওয়াস, ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধ। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে।
পাট দিয়ে চট, বস্তা, কাপড়, কার্পেট তৈরি হলেও পাটখড়ি এত দিন গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করার কাজে এবং ঘরের বেড়াদেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হতো। দেশের পার্টিকেল বোর্ড কারখানাগুলোতেও উপকরণ হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহৃত হয়। কিন্তুপাটখড়িকে ছাই বানিয়ে তা রপ্তানির পথ দেখান ওয়াং ফেই নামের চীনের এক নাগরিক। তা–ও মাত্র চার বছর আগে। আর এইচার বছরের ব্যবধানে দেশে ছাই উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠেছে ২৫টি।
‘গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি’ আখ্যা দিয়ে পাটখড়ির ছাই উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার ইতিবাচক। সম্প্রতি পাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কিছু উদ্যোগ রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়েরও।ইতিমধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছ থেকে ছাই উৎপাদন ও রপ্তানি–বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেছে এ মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত জুলাইয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, পাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০১৫–১৬ অর্থবছরে ৫৪ কোটি টাকা রপ্তানি আয়হয়েছে। তবে বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (প্রস্তাবিত) সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবে এ খাত থেকে বর্তমানেবৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। আর সহজেই আয় হওয়া সম্ভব বছরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
No comments:
Post a Comment