Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Friday, October 21, 2016

বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা পাঠখড়ির ছাই!!!

বাংলাদেশ থেকে পাটখড়ির ছাই রপ্তানি হচ্ছে। ব্যতিক্রম  পণ্যের রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। আর সে কারণে বাড়ছে ছাইউৎপাদনের কারখানাও। পাটখড়ি বা পাটকাঠির ছাই অ্যাক্টিভেটেড চারকোল নামেও পরিচিত।বাংলাদেশ থেকে পাটখড়িরছাইয়ের প্রধান আমদানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। তাইওয়ানব্রাজিলেও এটি রপ্তানি হচ্ছে। এর বড় বাজার রয়েছে মেক্সিকো,যুক্তরাষ্ট্রঅস্ট্রেলিয়াকানাডাজাপানব্রাজিলতুরস্কদক্ষিণ কোরিয়াজার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে।

ফলে পাটকাঠি থেকে তৈরি অ্যাকটিভেটেড চারকোল বাংলাদেশ নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে এতে কৃষকরা পাটউৎপাদনে আবারও আগ্রহী হবে এভাবেই সোনালী আঁশের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয় এরমধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকোল উৎপাদনে সঠিকভাবেব্যবহার করা যায়তবে প্রতিবছর প্রায়  লাখ ৫০ হাজার টন চারকোল উৎপাদন সম্ভব হবে যা বিদেশে রপ্তানি করে প্রতিবছরপ্রায়  হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টিহবে।

দেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয় ওই বছরই সর্বপ্রথমচীনে  পণ্য রপ্তানি করা হয় বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে দেশে  পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লেআগামীতে জাপানব্রাজিলতুকিস্তানযুক্তরাষ্ট্রদক্ষিণ কোরিয়াতাইওয়ানকানাডামেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলরপ্তানি সম্ভব হবে

জানা গেছে, বিদেশে চারকোল দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফেসওয়াসফটোকপিয়ারের কালিপানির ফিল্টারবিষ ধ্বংসকারী ওষুধজীবনরক্ষাকারী ওষুধদাঁত পরিষ্কার করার ওষুধ এছাড়া বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে  কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে

পাট দিয়ে চটবস্তাকাপড়কার্পেট তৈরি হলেও পাটখড়ি এত দিন গ্রামে মাটির চুলায় রান্না করার কাজে এবং ঘরের বেড়াদেওয়ার কাজেই ব্যবহৃত হতো। দেশের পার্টিকেল বোর্ড কারখানাগুলোতেও উপকরণ হিসেবে পাটখড়ি ব্যবহৃত হয়। কিন্তুপাটখড়িকে ছাই বানিয়ে তা রপ্তানির পথ দেখান ওয়াং ফেই নামের চীনের এক নাগরিক। তা মাত্র চার বছর আগে। আর এইচার বছরের ব্যবধানে দেশে ছাই উৎপাদনের কারখানা গড়ে উঠেছে ২৫টি।

গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি’ আখ্যা দিয়ে পাটখড়ির ছাই উৎপাদন  রপ্তানি বৃদ্ধিতে সরকার ইতিবাচক। সম্প্রতি পাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কিছু উদ্যোগ রয়েছে বস্ত্র  পাট মন্ত্রণালয়েরও।ইতিমধ্যে দেশের সব জেলা প্রশাসকের (ডিসিকাছ থেকে ছাই উৎপাদন  রপ্তানিবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করেছে  মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত জুলাইয়ে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একটি নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবিতথ্য অনুযায়ীপাটখড়ির ছাই রপ্তানিতে ২০১৫১৬ অর্থবছরে ৫৪ কোটি টাকা রপ্তানি আয়হয়েছে। তবে বাংলাদেশ চারকোল উৎপাদক  রপ্তানিকারক সমিতি (প্রস্তাবিতসূত্রে জানা গেছেবাস্তবে  খাত থেকে বর্তমানেবৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে ১৫০ কোটি টাকা। আর সহজেই আয় হওয়া সম্ভব বছরে  হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

No comments:

Post a Comment