ইতোমধ্যে আমাদের প্রিয় এবং মানুষ বসবাস উপযোগী এই সুন্দর পৃথিবী দুটি বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে। জাপানসহ বেশ কিছু দেশে এখনো সে নৃসংশতার নির্মম স্মৃতি চিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। তারপরেও সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ হয়েও মানুষ আরও একটি বিশ্বযুদ্ধ লাগানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে ফেলেছে।
আফগানিস্তান, ইরাক, লিভিয়া ধ্বংসের পর যুদ্ধবাজরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিরিয়ার উপর। আক্রমণ চলছে ইয়েমেনের উপরেও। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন তো জ্বলছেই। এতকিছুর পরও যুদ্ধদানবেরা শান্তি পাচ্ছে না। তাই তারা খুঁজে বেড়াচ্ছে নতুন নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। সম্ভবত সে কারণেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উনুনকেও তাতিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে যেকোনো সময় একটি মাত্র দেয়ারশলাইয়ের খোঁচার মাধ্যমেই জ্বালিয়ে দেওয়া যায় আগুনের লেলিহান শিখা, পুড়িয়ে দেওয়া যায় বিশ্ব মানবতাকে।
এর মধ্যেই খবর এসেছে, রাশিয়া তার নিজ দেশেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি স্বরূপ তার নাগরিকদের নিয়ে শুরু করেছে মহড়া। তাছাড়া, সিরিয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ায় বোমাবর্ষণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় রাশিয়ায় আক্রমণ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি। আর সে জন্য নিজেদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিতে দেশটির নাগরিকদের সতর্কও করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আফগানিস্তান, ইরাক, লিভিয়া ধ্বংসের পর যুদ্ধবাজরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিরিয়ার উপর। আক্রমণ চলছে ইয়েমেনের উপরেও। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন তো জ্বলছেই। এতকিছুর পরও যুদ্ধদানবেরা শান্তি পাচ্ছে না। তাই তারা খুঁজে বেড়াচ্ছে নতুন নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। সম্ভবত সে কারণেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের উনুনকেও তাতিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে যেকোনো সময় একটি মাত্র দেয়ারশলাইয়ের খোঁচার মাধ্যমেই জ্বালিয়ে দেওয়া যায় আগুনের লেলিহান শিখা, পুড়িয়ে দেওয়া যায় বিশ্ব মানবতাকে।
এর মধ্যেই খবর এসেছে, রাশিয়া তার নিজ দেশেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রস্তুতি স্বরূপ তার নাগরিকদের নিয়ে শুরু করেছে মহড়া। তাছাড়া, সিরিয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ায় বোমাবর্ষণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় রাশিয়ায় আক্রমণ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি। আর সে জন্য নিজেদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিতে দেশটির নাগরিকদের সতর্কও করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটেনের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে তাঁরা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। সেখানে মস্কোর এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চার দিন রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া। দেশটির প্রায় এক–তৃতীয়াংশ মানুষ এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। যুগান্তকারী এই কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন দুই লাখের বেশি উদ্ধারকারী দলের সদস্য, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
মহড়ায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় সরকার, আঞ্চলিক প্রশাসক, স্থানীয় সরকার ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা–কর্মচারীও।
রাশিয়ার জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ মহড়ার আয়োজন করেছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বিশাল পরিসরে মহড়ার আয়োজন করা হলো।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়, মস্কোকে আক্রমণ করার জন্য পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাশ কার্টার পেন্টাগনকে বলেন, রাশিয়া নজিরবিহীনভাবে ভয়াবহ পরমাণু অস্ত্রশক্তির প্রয়োগ করতে পারে।
এ বক্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসে রাশিয়া। আর জারি করে সতর্কবার্তা। নতুন অস্ত্র তৈরি, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার এবং নতুন নতুন সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে তারা।
বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের সবচেয়ে বড় মজুদ রয়েছে রাশিয়ার, যার সংখ্যা সাত হাজার ৩০০। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অস্ত্রের সংখ্যা ছয় হাজার ৯৭০।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা জাপানের উপর দুটি আণবিক বোমা ফেলেছিল। তাতে যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে পৃথিবী তা কোনো দিনই ভুলবার নয়। অথচ, তখন ছিল আণবিক প্রযুক্তি নিয়ে কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়কাল। কিন্তু এখন তো সে প্রযুক্তি এতটাই উন্নত হয়েছে যে, চাইলে গোটা বিশ্বটাকেই কয়েকবার ধ্বংস করে দেওয়া যায়। তাই পরাশক্তিগুলো সত্যিই যদি পৃথিবী ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে তাহলে কি কারো নিরাপদ থাকার সুযোগ আছে?
এ অবস্থায় তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক হিসেবে আমাদের ভাবনা কী হতে পারে? আমাদের করণীয়ই বা কী আছে?
No comments:
Post a Comment