মানুষের কত রকমের সখই তো থাকে! একসময় ডাক টিকিট সংগ্রহ করা অনেকেরই সখ ছিল। কেউ-বা সংগ্রহ করেন, নানা দেশের কাগুজে মুদ্রা কিংবা কয়েন। ঢাকার মগবাজারের এমন একজন আছেন যিনি নাকি সংগ্রহ করেন হরেক রকমের ম্যাচ বাক্স। কেউ-বা বাগান করেন, কেউ-বা পোষেন পশু-পাখি, আরও কত কি সখের ব্যাপার আছে, সব কি আর বলে শেষ করা যাবে?
এই যেমন একজন গাড়ি-প্রেমিকের খোঁজ পাওয়া গেছে, একটি নয় দুটি নয় তার সংগ্রহে আছে বিশ্বের সব নামী-দামি ব্রান্ডের ৩৬৯টি গাড়ি!! বিষয়টি কি ভাবা যায়!!!
মালায়লম ছবির অন্যতম জনপ্রিয় হিরো মামুট্টি। তিনিই সম্ভবত এ যুগের সব চেয়ে বড় একজন নামজাদা গাড়ি–প্রেমী। অভিনয়শুরু করার পর থেকেই তাঁর শখ হল বিভিন্ন দেশের নামী–দামি গাড়ি সংগ্রহ করা। এই শখের বশে তাঁর গ্যারেজে বর্তমানে গাড়িরসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯টি।
কোন গাড়ি নেই মামুট্টির গ্যারেজে! ই৪৬ বিএমডব্লিউ এম ৩ হোক, কিংবা জাগুয়ার এক্সজে, অথবা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার— সবইরয়েছে মামুট্টির কাছে। গাড়ির নাম যেমন দুনিয়াকাঁপানো, দামও তেমনই। মামুট্টির গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে যে সাদা অডি ৭গাড়িটি তার দাম ৮৬ লক্ষ টাকা। আর জাগুয়ার গাড়িটির দাম ৯৫ লক্ষ টাকা। ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে মামুট্টি কিনেছেনটয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারটি।
নিজের ছেলের জন্য গাড়ি কেনার সময়েও কোনও কার্পণ্য করেননি এই মালায়লাম সুপারস্টার। মিনি কুপার এস কিনে দিয়েছেনছেলেকে, যার দাম ৩২ লাখ টাকার কাছাকাছি। নিজের কেনার গাড়ির সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে নিজের পোর্শে গাড়ির নম্বরওরেখেছেন কে এল ৭ সিজি ৩৬৯। কিছুদিন আগে মোটর ভেহিকলস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত একটি নম্বর নিলাম অনুষ্ঠানে দেড়হাজার টাকার বিনিময়ে ৩৬৯ নম্বরটি কেনেন মামুট্টি।
বিপুল সংখ্যক গাড়ির মালিক মানুষটিই এবার কিনতে চান একটি মারুতি ৮০০। হঠাৎ করে এই সামান্য গাড়িটির দিকে হাতবাড়ালেন কেন মামুট্টি? আসলে মারুতি ৮০০–র যে মডেলটি কিনতে চাইছেন তিনি, সেটি ভারতের প্রথম মারুতি ৮০০।১৯৮৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে এই গাড়ির চাবি পান ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্মী হরপালসিংহ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি হরপালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গাড়িটির চাবি। তারপর ৩৩ বছর কেটে গেলেওহরপালের যত্নে গাড়িটি রয়েছে প্রায় নতুনের মতোই। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে দিল্লি–নিবাসী হরপালের স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর থেকেতাঁদের গ্রিন পার্কের বাড়ির সামনে গাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। এবার সেই গাড়িই কিনতে আগ্রহী হয়েছেনমামুট্টি।
মামুট্টির বক্তব্য, ‘মারুতি ৮০০ তো নিছক গাড়ি নয়, বরং এ হল সাধারণ মানুষের জন্য চার চাকার বিপ্লব। সেই গাড়ির প্রথমমডেলটির একটা ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই কারণেই গাড়িটিকে আমার সংগ্রহে রাখতে চাই আমি।’ সমস্যা হল, মারুতিকোম্পানিও তাদের সংগ্রহশালার জন্য চাইছে গাড়িটি। মামুট্টি জানেন সেই কথা। ‘আমি মারুতি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধজানিয়েছি যে, তাঁরা যেন আমাকে গাড়িটি কেনার অনুমতি দেন। এবার দেখা যাক, কী হয়’, বলছেন ৩৬৯টি গাড়ির মালিক।
আচ্ছা, আমরা মামুট্টির মতো এমন গাড়ি-প্রেমিকের কথা তো জানলাম। এরপর কি এমন কাউকে পাওয়া যাবে যিনি মামুট্টির মতো গাড়ি-প্রেমিক সেজে সন্তুষ্ট না হয়ে বরং, বিমান সংগ্রহে নেমে পড়েছেন বা পড়বেন?
এই যেমন একজন গাড়ি-প্রেমিকের খোঁজ পাওয়া গেছে, একটি নয় দুটি নয় তার সংগ্রহে আছে বিশ্বের সব নামী-দামি ব্রান্ডের ৩৬৯টি গাড়ি!! বিষয়টি কি ভাবা যায়!!!
মালায়লম ছবির অন্যতম জনপ্রিয় হিরো মামুট্টি। তিনিই সম্ভবত এ যুগের সব চেয়ে বড় একজন নামজাদা গাড়ি–প্রেমী। অভিনয়শুরু করার পর থেকেই তাঁর শখ হল বিভিন্ন দেশের নামী–দামি গাড়ি সংগ্রহ করা। এই শখের বশে তাঁর গ্যারেজে বর্তমানে গাড়িরসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯টি।
কোন গাড়ি নেই মামুট্টির গ্যারেজে! ই৪৬ বিএমডব্লিউ এম ৩ হোক, কিংবা জাগুয়ার এক্সজে, অথবা টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার— সবইরয়েছে মামুট্টির কাছে। গাড়ির নাম যেমন দুনিয়াকাঁপানো, দামও তেমনই। মামুট্টির গ্যারেজে শোভা পাচ্ছে যে সাদা অডি ৭গাড়িটি তার দাম ৮৬ লক্ষ টাকা। আর জাগুয়ার গাড়িটির দাম ৯৫ লক্ষ টাকা। ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে মামুট্টি কিনেছেনটয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারটি।
নিজের ছেলের জন্য গাড়ি কেনার সময়েও কোনও কার্পণ্য করেননি এই মালায়লাম সুপারস্টার। মিনি কুপার এস কিনে দিয়েছেনছেলেকে, যার দাম ৩২ লাখ টাকার কাছাকাছি। নিজের কেনার গাড়ির সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে নিজের পোর্শে গাড়ির নম্বরওরেখেছেন কে এল ৭ সিজি ৩৬৯। কিছুদিন আগে মোটর ভেহিকলস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত একটি নম্বর নিলাম অনুষ্ঠানে দেড়হাজার টাকার বিনিময়ে ৩৬৯ নম্বরটি কেনেন মামুট্টি।
বিপুল সংখ্যক গাড়ির মালিক মানুষটিই এবার কিনতে চান একটি মারুতি ৮০০। হঠাৎ করে এই সামান্য গাড়িটির দিকে হাতবাড়ালেন কেন মামুট্টি? আসলে মারুতি ৮০০–র যে মডেলটি কিনতে চাইছেন তিনি, সেটি ভারতের প্রথম মারুতি ৮০০।১৯৮৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে এই গাড়ির চাবি পান ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্মী হরপালসিংহ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি হরপালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গাড়িটির চাবি। তারপর ৩৩ বছর কেটে গেলেওহরপালের যত্নে গাড়িটি রয়েছে প্রায় নতুনের মতোই। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে দিল্লি–নিবাসী হরপালের স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর থেকেতাঁদের গ্রিন পার্কের বাড়ির সামনে গাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। এবার সেই গাড়িই কিনতে আগ্রহী হয়েছেনমামুট্টি।
মামুট্টির বক্তব্য, ‘মারুতি ৮০০ তো নিছক গাড়ি নয়, বরং এ হল সাধারণ মানুষের জন্য চার চাকার বিপ্লব। সেই গাড়ির প্রথমমডেলটির একটা ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই কারণেই গাড়িটিকে আমার সংগ্রহে রাখতে চাই আমি।’ সমস্যা হল, মারুতিকোম্পানিও তাদের সংগ্রহশালার জন্য চাইছে গাড়িটি। মামুট্টি জানেন সেই কথা। ‘আমি মারুতি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধজানিয়েছি যে, তাঁরা যেন আমাকে গাড়িটি কেনার অনুমতি দেন। এবার দেখা যাক, কী হয়’, বলছেন ৩৬৯টি গাড়ির মালিক।
আচ্ছা, আমরা মামুট্টির মতো এমন গাড়ি-প্রেমিকের কথা তো জানলাম। এরপর কি এমন কাউকে পাওয়া যাবে যিনি মামুট্টির মতো গাড়ি-প্রেমিক সেজে সন্তুষ্ট না হয়ে বরং, বিমান সংগ্রহে নেমে পড়েছেন বা পড়বেন?
No comments:
Post a Comment