কলার ছড়ি কেটে নেওয়ার পর গাছটিকে আর কি কাজে লাগানো যেতে পারে? না তেমন কিছু হয়তো ভাবনায় আসছে না। কেননা, আসলে পরিত্যক্ত কলাগাছ তেমন কোনো কাজেই লাগে না। অথচ এই কলাগাছ থেকেই ঢেউটিনসব অসাধারণ সব জিনিস বানানোর প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন একদল খুদে বিজ্ঞানী।
ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের এক দল তরুণ গবেষক ফেলে দেওয়া কলাগাছের আঁশথেকে ঢেউটিন, বিকল্প হার্ডবোর্ড ও ফলস সিলিং তৈরি করে চমকে দিয়েছেন। শুধু তা–ই না, তাঁদের দাবি, এই আঁশ ব্যবহার করেআসবাবও তৈরি করা সম্ভব।
গবেষক দলের সদস্যরা হলেন সাগর দাস, মো. রাকিবুল ইসলাম, আশিস সরকার, আবু সাঈদ, মো. দিদার হোসেন ও মো. বেলালহোসেন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.আজহারুল ইসলাম।
২০১৪ সালের শেষের দিকের কথা। বন্ধুরা বসে কলা খাচ্ছিলেন।কী নিয়ে গবেষণা করা যায়, সে বিষয়েই কথা হচ্ছিল। হঠাৎতাঁদের মাথায় এল, পাটের আঁশ দিয়ে যদি এত কিছু বানানো যায়, তবে কলাগাছের আঁশ দিয়ে নয় কেন? বন্ধুদের মধ্যে অনেকেইহেসেছিল সেদিন। কিন্তু রাকিবুল আর সাগর দাশের মাথায় ঠিকই ঢুকে গিয়েছিল ভাবনাটা। তখন থেকেই চেষ্টার শুরু।
গবেষক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাধারণ টিনের তুলনায় কলাগাছের আঁশ দিয়ে তৈরি টিন পুরোপুরি বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাপপরিবহন ক্ষমতাও বেশ কম। বিদ্যুতায়িত হওয়ার ভয় থাকবে না, সহজে বহন করা যাবে। এই হার্ডবোর্ড পানিতে টিকে থাকবে,ঘুণে ধরার ভয়ও নেই।
আর দামের দিক থেকেও এটি হবে তুলনামূলক সস্তা। প্রচলিত হার্ডবোর্ডগুলোর মূল্য প্রতি বর্গফুট ৯০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।সেখানে ল্যাবে তৈরি আমাদের পণ্যের উৎপাদন খরচ ৪৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
কলাগাছের আঁশ থেকে টাইলস, বাথটাব, বেসিন, দরজা–জানালা, ফটোফ্রেম, আলমারি, কেবিন, চেয়ার, টেবিল, পার্টিশনসহঅনেক আসবাব তৈরিতেই কাজে লাগানো যাবে। জিওটেক্সটাইলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে বাড়ানো যাবে রাস্তাঘাট,বিভিন্ন বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব। চীন, জাপান, কোস্টারিকা, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং পার্শ্ববর্তী ভারত কলাগাছের আঁশেরগবেষণায় সফলতা পেয়েছে। এই আঁশ থেকে তৈরি হয়েছে পোশাক, জানালার পর্দা, টেবিল বা ঘর সাজানোর দ্রব্যাদিসহ আরওনানা কিছু।
গবেষণা দলের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম বললেন ‘এই আঁশের শক্তি প্রায় পাটের মতো। পরীক্ষা করে দেখাগেছে এর সহন ক্ষমতা প্রায় ৩৬ সেন্টিনিউটন পার টেক্স, যেখানে জাতভেদে পাটের সহন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৪০ সেন্টিনিউটন পারটেক্স হয়ে থাকে।’ ইতিমধ্যে তাঁদের এই আবিষ্কার ক্যাম্পাসে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলছিলেন সে কথাও। ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থীথেকে শুরু করে আমরা সবাই এই আবিষ্কার নিয়ে রোমাঞ্চিত। এখনো অনেক গবেষণা বাকি। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। শুধু তা–ইনয়, আমাদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে তিনি কলাগাছের আঁশের তৈরি হার্ডবোর্ড ব্যবহারকরবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক, জিওটেক্সটাইল বিশেষজ্ঞ আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘ইউরোপেরদেশগুলোতে গ্লাস ফাইবার কম্পোজিট, কার্বন ফাইবার কম্পোজিটসহ বিভিন্ন কম্পোজিট শিট প্রস্তুত হচ্ছে। বাংলাদেশে এইগবেষণা যদি সঠিক পথে এগোয়, আমার বিশ্বাস আমরা ভালো ফল পাব।
ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের এক দল তরুণ গবেষক ফেলে দেওয়া কলাগাছের আঁশথেকে ঢেউটিন, বিকল্প হার্ডবোর্ড ও ফলস সিলিং তৈরি করে চমকে দিয়েছেন। শুধু তা–ই না, তাঁদের দাবি, এই আঁশ ব্যবহার করেআসবাবও তৈরি করা সম্ভব।
গবেষক দলের সদস্যরা হলেন সাগর দাস, মো. রাকিবুল ইসলাম, আশিস সরকার, আবু সাঈদ, মো. দিদার হোসেন ও মো. বেলালহোসেন। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ইউনিভার্সিটির বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.আজহারুল ইসলাম।
২০১৪ সালের শেষের দিকের কথা। বন্ধুরা বসে কলা খাচ্ছিলেন।কী নিয়ে গবেষণা করা যায়, সে বিষয়েই কথা হচ্ছিল। হঠাৎতাঁদের মাথায় এল, পাটের আঁশ দিয়ে যদি এত কিছু বানানো যায়, তবে কলাগাছের আঁশ দিয়ে নয় কেন? বন্ধুদের মধ্যে অনেকেইহেসেছিল সেদিন। কিন্তু রাকিবুল আর সাগর দাশের মাথায় ঠিকই ঢুকে গিয়েছিল ভাবনাটা। তখন থেকেই চেষ্টার শুরু।
গবেষক দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাধারণ টিনের তুলনায় কলাগাছের আঁশ দিয়ে তৈরি টিন পুরোপুরি বিদ্যুৎ অপরিবাহী, তাপপরিবহন ক্ষমতাও বেশ কম। বিদ্যুতায়িত হওয়ার ভয় থাকবে না, সহজে বহন করা যাবে। এই হার্ডবোর্ড পানিতে টিকে থাকবে,ঘুণে ধরার ভয়ও নেই।
আর দামের দিক থেকেও এটি হবে তুলনামূলক সস্তা। প্রচলিত হার্ডবোর্ডগুলোর মূল্য প্রতি বর্গফুট ৯০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।সেখানে ল্যাবে তৈরি আমাদের পণ্যের উৎপাদন খরচ ৪৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
কলাগাছের আঁশ থেকে টাইলস, বাথটাব, বেসিন, দরজা–জানালা, ফটোফ্রেম, আলমারি, কেবিন, চেয়ার, টেবিল, পার্টিশনসহঅনেক আসবাব তৈরিতেই কাজে লাগানো যাবে। জিওটেক্সটাইলের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করে বাড়ানো যাবে রাস্তাঘাট,বিভিন্ন বেড়িবাঁধের স্থায়িত্ব। চীন, জাপান, কোস্টারিকা, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এবং পার্শ্ববর্তী ভারত কলাগাছের আঁশেরগবেষণায় সফলতা পেয়েছে। এই আঁশ থেকে তৈরি হয়েছে পোশাক, জানালার পর্দা, টেবিল বা ঘর সাজানোর দ্রব্যাদিসহ আরওনানা কিছু।
গবেষণা দলের প্রধান, সহকারী অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম বললেন ‘এই আঁশের শক্তি প্রায় পাটের মতো। পরীক্ষা করে দেখাগেছে এর সহন ক্ষমতা প্রায় ৩৬ সেন্টিনিউটন পার টেক্স, যেখানে জাতভেদে পাটের সহন ক্ষমতা ২৫ থেকে ৪০ সেন্টিনিউটন পারটেক্স হয়ে থাকে।’ ইতিমধ্যে তাঁদের এই আবিষ্কার ক্যাম্পাসে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলছিলেন সে কথাও। ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থীথেকে শুরু করে আমরা সবাই এই আবিষ্কার নিয়ে রোমাঞ্চিত। এখনো অনেক গবেষণা বাকি। আমরা সেসব নিয়ে কাজ করছি।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। শুধু তা–ইনয়, আমাদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে তিনি কলাগাছের আঁশের তৈরি হার্ডবোর্ড ব্যবহারকরবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক, জিওটেক্সটাইল বিশেষজ্ঞ আব্দুল জব্বার খান বলেন, ‘ইউরোপেরদেশগুলোতে গ্লাস ফাইবার কম্পোজিট, কার্বন ফাইবার কম্পোজিটসহ বিভিন্ন কম্পোজিট শিট প্রস্তুত হচ্ছে। বাংলাদেশে এইগবেষণা যদি সঠিক পথে এগোয়, আমার বিশ্বাস আমরা ভালো ফল পাব।
No comments:
Post a Comment