Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Wednesday, October 19, 2016

একজোড়া রূপোর নূপুর বিক্রির পূর্বমুহূর্ত!

খুব ইচ্ছে করে সার্টিফিকেটের ফাইল নিয়ে আবার ছুটি,
বাবার স্বপ্ন, করে নিয়ে মুঠি!

এই! বেলাল, শিমুল, পার্থ! 
দোস্তো, তোরা কেমন আছিস বলত?
খুব ইচ্ছে করে আবার যাই,
সেই খেলার মাঠে, যেখানে আজও মাতিস তোর আনন্দ আড্ডায়!
মাগো, ওমা! তুমি দু'চোখ ভরা আশা নিয়ে 
আজো কি থাকো আমার পথের পানে চেয়ে?

রাসু! মনা আমার! ভাইয়ের জন্য তোর কি মন কাঁদে ? 
এখনো কি শালিক ধরিস ফাঁদে?

জানো মায়া? আমার এখনো স্বাদ হয়,
তোমায় নিয়ে মুক্তেশ্বরীর বুকে নৌকো বাই,
তোমার সেই নথ নড়া লাজুক কথার মধু!
আহা! তার পিপাসা আজো আছে, কমেনি একটুকু!

আমার কি দোষ বল?
চাকরীর পরীক্ষাটা দিয়েছিলাম ভাল।
ভাইভা বোর্ডে আটকে দিলেন স্যার
চুপিসারে বললেন, “পারবে কি টাকা দিতে লাখ তিন চার?”

হলনা আমার চাকরী,
আমার চেয়ে কম মার্কস পেয়ে চাকরীটা পেল বারী! 
বেশি মার্কস পেয়ে এভাবেই হল না চাকরী কত!
তারাই পেল যাদের মামা,খালু আর ব্যাংক ব্যালেন্স আসে শত
এ এক নষ্ট শহর! এর প্রতিটি শিরায় কালকূট প্রবাহিত! 
বুঝবে না গো তুমি অত! 

এখন আমি টিউশানি করে যা দু'পয়সা কামাই,
গাজা, আর ইয়াবাতেই সব চলে যায়।
ওতে না পোষালে দু'একটা করি ছিনতাই।

মায়া,
খুব ইচ্ছে ছিল, এক রাতে থাকবে যখন বউ সেজে,
তোমার আলতা রাঙা পায়ে শিকল দেব,
তাই নূপুর জোড়া কিনেছিলাম খুব বেছে!
হল নাহ! আজকে তাও দিচ্ছি বেচে!

তুমি শুধু রাসুকে বোলো ও যেন আর স্কুল না যায়,
আলো নিয়ে লাভ কি বল? তা যদি আধার না তাড়ায়!

No comments:

Post a Comment