দক্ষিণ এশিয়ার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু–কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেবাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ‘দ্য হিন্দু‘তে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এটি গ্রহণকরেন ‘দ্য হিন্দু‘র স্ট্রাটেজি এবং কূটনীতিবিষয়ক সম্পাদক সুহাসিনি হায়দার।
সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, তবেএকই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনের নামে সীমান্ত লংঘনেরও বিরোধী। তিনি বলেছেন, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে।তবে আমি এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
তিনি এও বলেছেন যে, আমি মনে করি, উভয় দেশেরই নিয়ন্ত্রণরেখার (সীমান্ত) পবিত্রতার বিষয়টি মেনে চলা উচিত। তাহলেউভয় দেশের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে।
অন্যদিকে চীনের প্রতি বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়ার বিষয়ে ভারতীয় উদ্বেগও নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সবারসঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তা বজায় রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
আমি বিশ্বাস করি সুসম্পর্কের একটি বড় অংশ হলো কানেকটিভিটি। আমরা এরইমধ্যে বিআইএন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। ফলেভুটান, ভারত এবং নেপালের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা চীন, ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গেও বিসিআইএম অর্থনৈতিককরিডোর গড়ে তুলছি। এর ফলে আমরা সবাই একযোগে নিজেদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে পারব, যা আমাদের জনগণেরঅর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে।
আমাদের জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে আমাদের এ অঞ্চলে কে সবচেয়ে বড় লাভবান হবে? ভারত। বাংলাদেশের বাজারথেকে সবচেয়ে লাভবান হওয়ার অবস্থানে রয়েছ ভারত। আপনাদের এটা বুঝতে হবে।
দ্য হিন্দু এমন একটি সময় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ এবং প্রকাশ করেছে, যখন চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এমনকি তাদের এটাও জানা ছিল যে, ভারত নামকাওয়াস্তে বাংলাদেশকে যে যৎসামান্য ঋণ দিয়ে নিজেদের প্রভাববলয়ে আটকে রাখতে চাইছে, চীন তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি সহায়তা নিয়ে আসছে। তাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মনোভাবটা তাদের আন্দাজ করার প্রয়োজন থেকেই তারা এটা করেছে।
তাছাড়া, দ্য হিন্দু‘র স্ট্রাটেজি এবং কূটনীতিবিষয়ক সম্পাদক সুহাসিনি হায়দারের প্রশ্নের ধরন দেখে মনে হচ্ছে যে, তিনি আশা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লীর প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবেন। কিন্তু তিনি যে ভাষায়ে এসব প্রশ্নের উত্তর পেলেন, তাতে সম্ভবত সে আশায় গুড়েবালি পড়েছে।
কেননা, ক্ষমতায় থাকতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভারতীয় সমর্থনের কারণে একটা সাধারণ বিশ্বাস ভারতীয়দের মধ্যে জন্মেছিল যে, আর যাইহোক তিনি আন্তর্জাতিক যে কোনো ইস্যুতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে কিছু বলবেন না বা করবেন না।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, না প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের মধ্যে ভারতীয়দের জন্য নতুন বার্তাও রয়েছে।
শুক্রবার ‘দ্য হিন্দু‘তে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এটি গ্রহণকরেন ‘দ্য হিন্দু‘র স্ট্রাটেজি এবং কূটনীতিবিষয়ক সম্পাদক সুহাসিনি হায়দার।
সাক্ষাৎকারে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অবস্থান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, তবেএকই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনের নামে সীমান্ত লংঘনেরও বিরোধী। তিনি বলেছেন, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে।তবে আমি এসব নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
তিনি এও বলেছেন যে, আমি মনে করি, উভয় দেশেরই নিয়ন্ত্রণরেখার (সীমান্ত) পবিত্রতার বিষয়টি মেনে চলা উচিত। তাহলেউভয় দেশের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে।
অন্যদিকে চীনের প্রতি বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়ার বিষয়ে ভারতীয় উদ্বেগও নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সবারসঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তা বজায় রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
আমি বিশ্বাস করি সুসম্পর্কের একটি বড় অংশ হলো কানেকটিভিটি। আমরা এরইমধ্যে বিআইএন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি। ফলেভুটান, ভারত এবং নেপালের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা চীন, ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গেও বিসিআইএম অর্থনৈতিককরিডোর গড়ে তুলছি। এর ফলে আমরা সবাই একযোগে নিজেদের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে পারব, যা আমাদের জনগণেরঅর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে।
আমাদের জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে আমাদের এ অঞ্চলে কে সবচেয়ে বড় লাভবান হবে? ভারত। বাংলাদেশের বাজারথেকে সবচেয়ে লাভবান হওয়ার অবস্থানে রয়েছ ভারত। আপনাদের এটা বুঝতে হবে।
দ্য হিন্দু এমন একটি সময় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ এবং প্রকাশ করেছে, যখন চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এমনকি তাদের এটাও জানা ছিল যে, ভারত নামকাওয়াস্তে বাংলাদেশকে যে যৎসামান্য ঋণ দিয়ে নিজেদের প্রভাববলয়ে আটকে রাখতে চাইছে, চীন তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি সহায়তা নিয়ে আসছে। তাই প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মনোভাবটা তাদের আন্দাজ করার প্রয়োজন থেকেই তারা এটা করেছে।
তাছাড়া, দ্য হিন্দু‘র স্ট্রাটেজি এবং কূটনীতিবিষয়ক সম্পাদক সুহাসিনি হায়দারের প্রশ্নের ধরন দেখে মনে হচ্ছে যে, তিনি আশা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লীর প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সচেষ্ট থাকবেন। কিন্তু তিনি যে ভাষায়ে এসব প্রশ্নের উত্তর পেলেন, তাতে সম্ভবত সে আশায় গুড়েবালি পড়েছে।
কেননা, ক্ষমতায় থাকতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ভারতীয় সমর্থনের কারণে একটা সাধারণ বিশ্বাস ভারতীয়দের মধ্যে জন্মেছিল যে, আর যাইহোক তিনি আন্তর্জাতিক যে কোনো ইস্যুতে ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে কিছু বলবেন না বা করবেন না।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, না প্রধানমন্ত্রীর উত্তরের মধ্যে ভারতীয়দের জন্য নতুন বার্তাও রয়েছে।
No comments:
Post a Comment