Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Monday, October 17, 2016

ভয় পেয়ো না রিনা, তোমার পাশেই আছে বাংলাদেশ

রব উঠেছে, সময় এখন বাংলাদেশের। কথাটি অবাস্তব না। তাই এসময় বঞ্চিত থাকবে কোনো মেধাবী এটাই আমাদের বিশ্বাস। যেমন বঞ্চিত থাকেনি রাসেল। পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েও টাকার অভাবে মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল রায়হানুল বারীরাসেলের। গণমাধ্যম এমন খবরে রাসেলের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসেন চারঘাটবাঘা আসনের এমপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারআলম।

প্রতিবেদনটি দেখে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘লালমনিরহাট হাতিবান্ধার এই শিক্ষার্থীকে খুজেদিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো। তার সঙ্গে যোগাযোগের নম্বরটি দিলেই হবে।‘ এমন স্ট্যাটাস দেয়ার ৩৭ মিনিট পরেই ছেলেটিরমোবাইল নম্বরটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হন তিনি। পরে রাসেল  তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে রাসেলের ভর্তির দায়িত্ব গ্রহণকরেন শাহরিয়ার আলম।

এবার খবর এসেছে আইরিন আক্তার রিনার। তারও একই অবস্থা। কিন্তু খবরটি যেহেতু একবার মিডিয়াতে এসেছে তাই, সাহস নিয়েই বলছি, ভয় পেয়ো না রিনা, তোমার পাশেই আছে বাংলাদেশ। তোমার স্বপ্ন ও সাধনাও নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না।

ইত্তেফাকের খবর, বাবা দিনমজুরের কাজ করেন। মা বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালান। তাদের মেধাবী মেয়ে আইরিনআক্তার রিনা। এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। অবাক এলাকার মানুষ। কিন্তু অর্থাভাবে তার মেডিকেলে ভর্তিঅনিশ্চিত হয়ে পড়েছে

 রবিবার সকালে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,ভাঙ্গাচোরা বাড়িঘর। বাবা ইউনুস আলী ভোরে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। ছাত্রী আইরিন অভাবের সংসারেপড়াশোনা করে এই সফলতা অর্জন করেছে। তার ছিলনা কোনো টিউটর। প্রতিদিন দুই কিলোমিটার হেঁটে কলেজে গিয়েছে

আইরিন আক্তার রিনা জানানতিনি বাড়ির কাছে বাগডোকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভকরে। তারপর সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়  সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। এসএসসি এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছে। সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ে পড়ার সময় অভাবের কথা চিন্তা করে কলেজকর্তৃপক্ষ তার খরচ বহন করে। তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তার রোলনং– ২৪০৩৯১২সিরিয়াল নম্বর ৭৭৬১৩৫স্কোর– ৬৬ দশমিক ৭৫ এবং মোট স্কোর ২৬৬ দশমিক ৭৫

 তিনি আরো জানানচলতি অক্টোবর মাসের ২০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে তাকে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি হতে প্রায় ১৮/২০ হাজারটাকা লাগবে। এত টাকা জোগাড় করা তার বাবামায়ের পক্ষে  অসম্ভব

আইরিনের মা বেলী বেগম বলেননিজের ভিটেমাটি কিছুই নেই। এক মেয়েদুই ছেলের মধ্যে আইরিনই বড়। খেয়ে না খেয়েমেয়েটি স্কুলকলেজ করেছে। ভালো ফলাফলে সবাই সন্তুষ্ট হলেও মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। কি করবোভেবে পাচ্ছি না

 সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আমির আলী আজাদ বলেনপ্রতিষ্ঠানের ২৫ জন শিক্ষার্থী এবারমেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেধাবী ছাত্রী আইরিন আক্তার রিনার পড়ার খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বহন করেছে

 তিনি এই মেধাবী ছাত্রীর লেখাপড়াসহ ভর্তির সহায়তার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তাকে সহায়তা করতে ০১৭৩৭৩৬৩২৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে

 রাসেলের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এসেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বোন রিনা, তুমিও কাউকে না কাউকে পাশে পাবেই। তাই বলছি, ভয় পেয়ো না রিনা, তোমার পাশেই আছে বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment