অতিরঞ্জিত এবং মনগড়া খবর প্রচারে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার জুড়ি নেই। প্রতিনিয়তই তারা এটা করে থাকে রুচি ও ভদ্রতার বালাই ছাড়াই।এবারও তারা একই কাজ করছে কাশ্মীর সীমান্তে চলমান উত্তেজনাকে পুঁজি করে।
ভারতের কাশ্মীরে উরির সেনা ছাউনিতে গত রোববার জঙ্গি হামলায় ১৭ সেনা নিহত হওয়ার পর আনন্দবাজার লিখেছে, ‘২৪ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার গা ঘেঁষেই পড়ে রয়েছে জঙ্গিদের নিথর দেহগুলো। দু’-এক জন নয়। কাল দশ জন জঙ্গিকেখতম করেছে ভারতীয় সেনা। অথচ আজ রাত পর্যন্ত তাদের এক জনের দেহও উদ্ধার করতে পারল না তারা। কারণ? সেনারশীর্ষ কর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জওয়ানরা ওই দেহগুলির ধারে কাছে গেলেই কাঁটা তারের ও–পার থেকে ধেয়ে আসছেগুলি। তাই ভারতীয় জওয়ানরা কয়েক পা এগিয়েও ফের পিছিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েক বার একইঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।’
অন্যদিকে, আনন্দবাজারকে টেক্কা দিয়ে আরও গরম খবর দিয়েছে কলকাতার ‘এই সময়‘ পত্রিকার। তারা লিখেছে ‘উরির হামলারপ্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল দুটি ইউনিটে ভাগ হয়ে হেলিকপ্টারে করে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাস্মীরে ঢুকে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর হামলা করে অন্তত ২০ জনকে হত্যা করে’।আজকের দর্পণ নামের একটি গণমাধ্যমের অনলাইনে লিখেছে, ‘সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনাদের অভিযান : ২০ জঙ্গি নিহত’।
অথচ, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে সেদেশের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনারা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর হেলিকপ্টারে করে হামলা করেছে বলে যে খবর প্রচার করাহচ্ছে তা সত্য নয়।’
এর মানে কি দাড়ালো? যে যুদ্ধের খবর সেনাবাহিনী নিজেরাই জানে না, আনন্দবাজারীরা তা জানলো কীভাবে? নাকি তারা নিজেরাই যুদ্ধটা শুরু করেছে!
আরও হাস্যকর ব্যাপার হলো- যে ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীকে নিয়ে গর্ব করে তারা পাকিস্তান সীমানায় ঢুকে জঙ্গিদের হত্যা করার খবর দিয়ে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই তারাই আবার বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত রেখার খুব কাছে পড়ে থাকা জঙ্গিদের একটি লাশও উদ্ধার করতে পারেনি!!
এখন প্রশ্ন হলো- যে সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টায় একটি লাশও উদ্ধার করতে পারে না তাদের নিয়ে আনন্দবাজারীরা অহঙ্কারের আস্ফালনই বা করছে কি করে? যুদ্ধ লাগার আগেই যাদের এই অবস্থা, যুদ্ধ লাগলে তাদের কি করুণ দশা দাড়াবে, সেটা কি ভেবে দেখেছে আনন্দবাজারীরা?
ভারতের কাশ্মীরে উরির সেনা ছাউনিতে গত রোববার জঙ্গি হামলায় ১৭ সেনা নিহত হওয়ার পর আনন্দবাজার লিখেছে, ‘২৪ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখার গা ঘেঁষেই পড়ে রয়েছে জঙ্গিদের নিথর দেহগুলো। দু’-এক জন নয়। কাল দশ জন জঙ্গিকেখতম করেছে ভারতীয় সেনা। অথচ আজ রাত পর্যন্ত তাদের এক জনের দেহও উদ্ধার করতে পারল না তারা। কারণ? সেনারশীর্ষ কর্তারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জওয়ানরা ওই দেহগুলির ধারে কাছে গেলেই কাঁটা তারের ও–পার থেকে ধেয়ে আসছেগুলি। তাই ভারতীয় জওয়ানরা কয়েক পা এগিয়েও ফের পিছিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েক বার একইঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।’
অন্যদিকে, আনন্দবাজারকে টেক্কা দিয়ে আরও গরম খবর দিয়েছে কলকাতার ‘এই সময়‘ পত্রিকার। তারা লিখেছে ‘উরির হামলারপ্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল দুটি ইউনিটে ভাগ হয়ে হেলিকপ্টারে করে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাস্মীরে ঢুকে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর হামলা করে অন্তত ২০ জনকে হত্যা করে’।আজকের দর্পণ নামের একটি গণমাধ্যমের অনলাইনে লিখেছে, ‘সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় সেনাদের অভিযান : ২০ জঙ্গি নিহত’।
অথচ, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে সেদেশের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় সেনারা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপর হেলিকপ্টারে করে হামলা করেছে বলে যে খবর প্রচার করাহচ্ছে তা সত্য নয়।’
এর মানে কি দাড়ালো? যে যুদ্ধের খবর সেনাবাহিনী নিজেরাই জানে না, আনন্দবাজারীরা তা জানলো কীভাবে? নাকি তারা নিজেরাই যুদ্ধটা শুরু করেছে!
আরও হাস্যকর ব্যাপার হলো- যে ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীকে নিয়ে গর্ব করে তারা পাকিস্তান সীমানায় ঢুকে জঙ্গিদের হত্যা করার খবর দিয়ে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই তারাই আবার বলছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টায় সীমান্ত রেখার খুব কাছে পড়ে থাকা জঙ্গিদের একটি লাশও উদ্ধার করতে পারেনি!!
এখন প্রশ্ন হলো- যে সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টায় একটি লাশও উদ্ধার করতে পারে না তাদের নিয়ে আনন্দবাজারীরা অহঙ্কারের আস্ফালনই বা করছে কি করে? যুদ্ধ লাগার আগেই যাদের এই অবস্থা, যুদ্ধ লাগলে তাদের কি করুণ দশা দাড়াবে, সেটা কি ভেবে দেখেছে আনন্দবাজারীরা?
No comments:
Post a Comment