কোথায় যেন পড়েছিলাম, নগরপরিবহণগুলোর মধ্যে সরকারি খাতায় নাকি সিটিং এবং লোকাল বাস বলে আলাদা কোনো প্রকারভেদ নাই। সবই এক। ঘটনা সত্য কিনা জানি না। তবে যখন রাস্তার মোড়ে মেজিস্ট্র্যাট সাহেবরা আদালত বসিয়ে চেক করা শুরু করেন, তখন দেখা যায় দূরত্বভেদে ভাড়ার যে চার্ট ড্রাইভারের মাথার উপর ঝুলানো থাকে তা সব বাসে প্রায় একই রকম। তাতেই ধারণা করি, আসলে সব বাসের নিয়ম-কানুন একই হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোনটা গেটলক, কোনটা সিটিং, কোনটা কম-স্টপিজ, কোনটা আবার বিরতিহীন!
আরও চকমপ্রদ বিষয় হলো- কোনো বাসের গায়েই কিন্তু ‘লোকাল পরিবহন’ বলে কিছু লেখা থাকে না। লেখা না থাকলেও সমস্যা নেই, আমরা নিজ দায়িত্বেই ধারণা করে নেই যে অমুক বাসটা হয়তো লোকাল, আর তমুক বাসটা লোকাল না হলেও সিটিং ভাড়া দিয়ে যে কোনো স্থান থেকেই উঠা কিংবা নামা যাবে। আর ১/২টা ব্যতিক্রম ছাড়া সব বাসেই ইচ্ছে মতো লোক দাঁড়িয়েই যাওয়া যাবে।
আমরা যারা নিজেদের আম-জনতা তথা ম্যাঙ্গো-পাবলিক মনে করি অর্থাৎ যাদের একখান প্রাইভেটকার কিংবা প্রাইভেট কোনো পরিবহন নাই তারা প্রতিদিন ঝুলতে ঝুলতে সেসব গাড়িতেই যাতায়াত করি, আর সিটিং ভাড়া দিয়েও মনকে সান্ত্বনা দেই, তারপরও তো গন্তব্য পৌঁছতে পারা গেল, সেটাই-বা কম কি।
কিন্তু গতকাল ফেসবুকে একটা ইভেন্ট দেখে ভাবলাম ঘটনাটা একটু ঘেঁটে দেখি। ‘মিরপুর রোডে নামে সিটিং, ভাড়ায় চিটিং! যেখানেই নামেন ভাড়া কিন্তু ২৫/৩০!’ শিরোনামে একটি ইভেন্ট খুলেছে কিছু ইয়ংম্যান। ইভেন্টের ব্যাখ্যায় তারা যা লিখেছে তার মর্মার্থ হলো,
এই নৈরাজ্য আর কতদিন?
সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে ‘চিটিং সার্ভিস’।
“সিটিং সার্ভিস” লিখে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সিটিং সার্ভিসে কাউন্টার ব্যতীত না থামা ও সিটের অতিরিক্ত যাত্রী না উঠানোর নিয়ম থাকলেও তার কোনটিই মানে না ‘চিটিংসার্ভিস’গুলো।
নগরবাসীর বহুমুখী দুর্ভোগের সাথে নতুন এ প্রতারণা যুক্ত হলেও দেখার কেউ নেই।
রাজধানীর কুড়িল, নতুনবাজার হয়ে মিরপুর থেকে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত বেশ কিছু বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে চালাচ্ছে। এইরুটে সিটিং সার্ভিসের কথা বলে সর্বনিম্ন ভাড়া নেয়া হয় ২৫ টাকা।
তবে ভাড়ার বিপরীতে যাত্রীদের কোন টিকেট দেয়া হয় না। সিটিং সার্ভিসে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী না উঠানোর নিয়ম থাকলেওবাসগুলোতে যাত্রী উঠানো হয় ঠেসে ঠেসে
গেটলক এসব পরিবহনে যেখানেই যাত্রী নামুক না কেন তাকে দিতে হচ্ছে সর্বশেষ গন্তব্যের ভাড়া।এবং এসব গাড়িতে শিক্ষার্থীদেরজন্য অর্ধেক ভাড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
(যদিও মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ভাড়া হাফ করে দিয়েছেন)
(বিঃদ্রঃ–ইহাই বাংলাদেশের একমাত্র রোড, যেখানে কোন লোকাল বাস নাই…!!)
তাই এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, ও শিক্ষামন্ত্রী এর হস্তক্ষেপ কামনার জন্য আমাদের এইEvent..!!
কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণের পর দেখলাম ইভেন্টটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। ভুক্তভোগী লোকজন তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। দুই/একজনকে আবার দেখলাম, তারা বাস মালিক পক্ষ নিয়ে এসে ভাড়া বেশি নেওয়ার পেছনের অদৃশ্য কারণগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছে। আশা করি সেসব কতটা সত্য তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিআরটিএ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লোকজন ভেবে দেখবেন।
তবে আমাদের বক্তব্য হলো, ‘ভাড়া নেয় সিটিং, যাত্রী টানে লোকাল’ এই সমস্যা শুধু ঢাকার মিরপুর রোডের সমস্যা নয়, রাজধানীর অন্য সকল রাস্তাসহ দেশের অন্যান্য শহরের পরিবহনগুলোর ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। অতএব, কর্তৃপক্ষ বলে যদি কিছু থাকে তারা এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরও চকমপ্রদ বিষয় হলো- কোনো বাসের গায়েই কিন্তু ‘লোকাল পরিবহন’ বলে কিছু লেখা থাকে না। লেখা না থাকলেও সমস্যা নেই, আমরা নিজ দায়িত্বেই ধারণা করে নেই যে অমুক বাসটা হয়তো লোকাল, আর তমুক বাসটা লোকাল না হলেও সিটিং ভাড়া দিয়ে যে কোনো স্থান থেকেই উঠা কিংবা নামা যাবে। আর ১/২টা ব্যতিক্রম ছাড়া সব বাসেই ইচ্ছে মতো লোক দাঁড়িয়েই যাওয়া যাবে।
আমরা যারা নিজেদের আম-জনতা তথা ম্যাঙ্গো-পাবলিক মনে করি অর্থাৎ যাদের একখান প্রাইভেটকার কিংবা প্রাইভেট কোনো পরিবহন নাই তারা প্রতিদিন ঝুলতে ঝুলতে সেসব গাড়িতেই যাতায়াত করি, আর সিটিং ভাড়া দিয়েও মনকে সান্ত্বনা দেই, তারপরও তো গন্তব্য পৌঁছতে পারা গেল, সেটাই-বা কম কি।
কিন্তু গতকাল ফেসবুকে একটা ইভেন্ট দেখে ভাবলাম ঘটনাটা একটু ঘেঁটে দেখি। ‘মিরপুর রোডে নামে সিটিং, ভাড়ায় চিটিং! যেখানেই নামেন ভাড়া কিন্তু ২৫/৩০!’ শিরোনামে একটি ইভেন্ট খুলেছে কিছু ইয়ংম্যান। ইভেন্টের ব্যাখ্যায় তারা যা লিখেছে তার মর্মার্থ হলো,
এই নৈরাজ্য আর কতদিন?
সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে ‘চিটিং সার্ভিস’।
“সিটিং সার্ভিস” লিখে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
সিটিং সার্ভিসে কাউন্টার ব্যতীত না থামা ও সিটের অতিরিক্ত যাত্রী না উঠানোর নিয়ম থাকলেও তার কোনটিই মানে না ‘চিটিংসার্ভিস’গুলো।
নগরবাসীর বহুমুখী দুর্ভোগের সাথে নতুন এ প্রতারণা যুক্ত হলেও দেখার কেউ নেই।
রাজধানীর কুড়িল, নতুনবাজার হয়ে মিরপুর থেকে আনসার ক্যাম্প পর্যন্ত বেশ কিছু বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে চালাচ্ছে। এইরুটে সিটিং সার্ভিসের কথা বলে সর্বনিম্ন ভাড়া নেয়া হয় ২৫ টাকা।
তবে ভাড়ার বিপরীতে যাত্রীদের কোন টিকেট দেয়া হয় না। সিটিং সার্ভিসে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী না উঠানোর নিয়ম থাকলেওবাসগুলোতে যাত্রী উঠানো হয় ঠেসে ঠেসে
গেটলক এসব পরিবহনে যেখানেই যাত্রী নামুক না কেন তাকে দিতে হচ্ছে সর্বশেষ গন্তব্যের ভাড়া।এবং এসব গাড়িতে শিক্ষার্থীদেরজন্য অর্ধেক ভাড়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
(যদিও মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের ভাড়া হাফ করে দিয়েছেন)
(বিঃদ্রঃ–ইহাই বাংলাদেশের একমাত্র রোড, যেখানে কোন লোকাল বাস নাই…!!)
তাই এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, ও শিক্ষামন্ত্রী এর হস্তক্ষেপ কামনার জন্য আমাদের এইEvent..!!
কয়েক ঘন্টা পর্যবেক্ষণের পর দেখলাম ইভেন্টটিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। ভুক্তভোগী লোকজন তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। দুই/একজনকে আবার দেখলাম, তারা বাস মালিক পক্ষ নিয়ে এসে ভাড়া বেশি নেওয়ার পেছনের অদৃশ্য কারণগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছে। আশা করি সেসব কতটা সত্য তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিআরটিএ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লোকজন ভেবে দেখবেন।
তবে আমাদের বক্তব্য হলো, ‘ভাড়া নেয় সিটিং, যাত্রী টানে লোকাল’ এই সমস্যা শুধু ঢাকার মিরপুর রোডের সমস্যা নয়, রাজধানীর অন্য সকল রাস্তাসহ দেশের অন্যান্য শহরের পরিবহনগুলোর ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। অতএব, কর্তৃপক্ষ বলে যদি কিছু থাকে তারা এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments:
Post a Comment