অনেক রাখঢাক করে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত তাদের দেশের গরু বাংলাদেশে পাঠানো বন্ধ করেছিল। প্রায় ২ বছর হতে চলল বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় গরু আসেনা। কিন্তু তা সত্তেও বাংলাদেশের বাজারে গরুর অভাব নেই। দেশী গরু দিয়েই মেটানো হচ্ছে সব চাহিদা। বরং ভারতীয়রা তাদের গরু পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের এক রকম উপকারই করল ( তারা সেটা চেয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে)। সেটি হলো, বাংলাদেশ থেকেই উদ্যোক্তরা নিজেরাই ফার্ম করে গরু উতপাদন করেছে আর সবাই ভাল করেই জানেন, দেশী গরুর মাংসের স্বাদই আলাদা।
এখন পর্যন্ত কোরবানীর গরুর যতগুলো হাট বসেছে, সবখানেই দেশী গরুতে সয়লাব। গরুর তেমন একটা অভাব নেই। দাম একটু হয়তো বাড়তি কিছু কিছু জায়গায় – কিন্তু দেশী গরু দাম কোন কালে কম ছিল! ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হবার পরে বাংলাদেশে গরুর খামার অনেক বেড়েছে। এবং তা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাইরে থেকে গরু আমদানী করার প্রয়োজনই পড়বে না। আর তাছাড়া কোরবানীর সময়ে আগে ২৫% গরু আসত ভারত থেকে। এমন না যে একেবারে ৫০%। সেই ক্ষতি আমরা নিজেরাই পুষিয়ে নিয়েছি। বরং লাভের উপর লাভ হয়েছে। নিজেদের প্রচুর খামার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হতে পারে – এর চাইতে বড় উদাহরন আর হতে পারে না।
তবে মনের কোনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় সবসময় – ভারত কেমন বন্ধু বাংলাদেশের? প্রতিবেশী রাষ্ট্র, বন্ধুপ্রতিম দেশ, রাষ্ট্রীয় আত্মীয়তা, বড় বড় বুলি, বর্ডারে তাদের “আথিতিয়েতা”, নদীতে নদীতে বাঁধ, ক্রিকেটে তাদের কার্যকলাপ – এসব কিছুই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয় মনে। উত্তর তো পাই না। আপনাদের আছে কি সেই কাঙ্খিত উত্তর?
No comments:
Post a Comment