Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Monday, September 5, 2016

ভ্যাম্পায়ার কি আমরা কেউ কি যানি ?


ওটা প্রকাশ করবার সময় এখনো আসেনি ভায়া। মটিলডা ব্রিগস একটা জাহাজের নাম। সুমাএার দানব ইদুরের রহস্য ওই নামের সঈে জড়িত। কিন্তু ভ্যাম্পায়ার হল নিতান্তই পাগল লোকের কল্পনা___রূপকথার গল্প_____
      বলতে নিদর্শিকা_গ্রন্হের ডি__ভল্যুমটা তাক থেকে নামিয়ে নিয়ে পাতা ওল্টালো হোমস।
এই যে পাওয়া গেছে__ভ্যাম্পায়ার__দেখা যাচ্ছে হাঙ্গারিতে, ট্রানসিনসিলভানিয়াতে ভ্যাম্পায়ারের উংপাত হয়েছিল।
    কফিনের মড়া ভ্যাম্পায়ার হয়ে যেত। সে কারণে ওসব মড়ার হৃংপিগুে কাঠের গোঁজ ঠুকে দেওয়া হত। রাবিশ।  উন্মও মন্তিন্কের কল্পনা ছাড়া আর কি এসব বল?
__কিন্ত, যেীবন অটুট রাখার জন্য জ্যান্ত মানুষরাও যে অল্প বয়সীদের রক্ত শুষে খেতো একসময় তেমন ঘটনাও তো যথেষ্টই শোনা গেছে।
___সেসব লৌকিক কাহিনী এতেও দেওয়া আছে। অবাস্তব সব গল্প। কিন্তু মি. ফাগূসন___ওঃ এইতো দেখছি আর একটা চিঠি__দেখা যাক___হয়তো উনিই লিখেছেন।
  ছোকরা চাকর এসময় নিয়ে এল একটা চিঠি।
আগ্রহের সঙ্গে দ্বিতীয় চিঠিটা খুলে পড়ল হোমস্।---হ্যা,  মিষ্টার ফাগুসনেরই লেখা,
পড়ে দেখ। চিন্তান্বিত মখে চিঠিটা বাড়িয়ে দিলে হোমস্। লেখাটা এরকমঃ প্রিয় মিষ্টার
হোমস,
       আমরা উকিলের পরামশে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি আমি। সমস্যটা আমার এক বন্ধুর। ঘটনাটা অসাধারন_ব্যক্তিগতও
বটে। বন্ধুটি বছর পাঁচেক আগে এক পেরুভিয়ান মহিলাকে বিয়ে করেন।
   মহিলাটি অসাধারণ সুন্দরী। ভিনদেশী, ভিন্নধমীর হলেও স্বামীকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন তিনি। কিন্তু স্বামী ভদ্রলোক মহিলাকে যেন ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা। ফলে এমশই দুজনের মধ্যে একটা ব্যবধান গড়ে উঠছে।
 কেসটা নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করবার আগে কিছুটা আভাস দিয়ে রাখতে চাই।
      ভদ্রমহিলার স্বভাব খুবই নম্র, মনটাও ভাল।
পতিভন্তির তুলনা হয় না।
কিন্তু সম্প্রতি অদ্রুতভাবে ____স্বভাব বিরুদ্ধ কিছু ঘটনা তিনি ঘটিয়ে ফেলছেন।
     ভদ্রলোক আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। আগের পক্ষের বছর পনের বয়সের একটা ছেলে আছে।
বড় মিষ্টি স্বভাবের ছেলে। ছেলেবেলায় একটা দুঘটনার ফলে শরীরে একটা খুত
পড়েছে।
এই ছেলের ওপরেও সংমা দু'দুবার আএমণ চালিয়েছেন----একবার লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়েছিলেন।
কিছু মাস খানেক আগে বছরখানেক বয়সের নিজের ছেলের সঙ্গে যে ব্যবহার করছেন তা খুবই নৃশংস।
       শিশুটিকে কিছুক্ষণের জন্য একলা রেখে ধাইমা পাশের অন্য কাজ করছিল। হঠাং কান্না শুনে এসে দেখে ভদ্রমহিলা ঝুকে পড়ে শিশুটির ঘাড়ে কামড় বসাচ্ছেন।
ঘাড়ে একটা ছোট্র ক্ষত থেকে তখনো রক্ত গড়াচ্ছিল। ধাইমা ঘাবড়ে গিয়ে ভদ্রলোককে খবর দিতে যাচ্ছিল।
কিন্তু ভদ্রমহিলা তাকে কাকুতি মিনতি করে নিরস্ত করেন। এমনকি পাচ পাইন্ড ঘুষও তাকে দেন মুখ বদ্ধ রাখার জন্য। ব্যাপরটা সে সময় আর জানাজানি হয় না।
ধামমা কিন্তু এই ঘটনার পর চোখে চোখে রাখেন থাকে শিশুটিকে। সে লক্ষ্য করে,
মা ও ছেলেটির ওপরে নজর রেখেছে, সুযোগ খুজছে তাকে একটু একলা পাবার জন্য।
একটা অসহায় শিশুকে নিয়ে যেন খেলা চলল দুজনের মধ্যে। স্বামী বেচারা এসবের কিছুই জানতেন না। কিন্তু সহসাই এমন ঘটনা ঘটর যে কিছুই আর ফাস হতে বাকি থাকল না।
         দিনের পর দিন এভাবে পাহারা দিয়ে ধাইমা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
         সে একদিন ভদ্রলোককে সব কথা খুলে বলে দিল।
    কিন্তু ভদ্রলোক বিশ্বাস করে উঠতে পারলেন না। এত বছর সংসার করছেন একসঙ্গে, সংছেলের ওপরে মারধরের ব্যাপার ছাড়া আর কোন নৃশংসতা কখনো মহিলার মধ্যে দেখেন নি তিনি।
   ভদ্রলোক যখন ধাইমার সঙ্গে নিভৃতে কথা বলছিলেন, শিশুটি সে সময় একা ছিল।
     হঠাং কাকিয়ে কেদে উঠল।
দুজনেই ছুটে গেলেন ঘরে। কিন্তু ঘরে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলেন, চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস করা শক্ত।
     ভদ্রলোক স্বচক্ষে দেখলেন, খাটের পাশে বসে বউ নিজের ছেলের ঘাড় কামড়ে রয়েছেন।
     ছেলের ঘাড় আর বিছানার চাদর রক্তে মাখামাখি। আতস্কে চিংকার করে ছুটে গিয়ে বউকে সরিয়ে আনতেই দেখতে পেলেন তার দুই ঠোটে রক্ত লেগে রয়েছে।
ভদ্রমহিলা যে নিজের পটের সন্তানের রক্ত পান করছিলেন তাতে আর কোন সন্দেহই রইল না।
মি. হোমস্, এই ঘটনা দেখার পর ভদ্রলোকের মানসিক অবস্থা একবার কল্পনা করুন।
    তার অবস্থা এখন উন্মওের মত।
ভদ্রমহিলা এমন পৈশাচিক কাজের কোন কারণ বলেন নি। তাকে এখন ছেলেটির কাছ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
   ভ্যাম্পায়ার সম্পকে আমি কিছু জানি না। আমার বন্ধুটিরও কোন ধারণা নেই। ব্যাপারটা উপকথার মন-গড়া বিষয় বলেই মনে করতাম আমরা। কিন্তু খোদ লন্ডনের মাটিতেই দেখছি ভ্যাম্পায়ারের আবিভাব ঘটল।

No comments:

Post a Comment