Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Friday, September 30, 2016

মনে আছে প্রীতিলতার কথা

By On 6:51:00 PM
এক বিপ্লবী নারী তার মাকে লিখেছিল, ‘মাগো, অমন করে কেঁদো না! আমি যে সত্যের জন্য, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে এসেছি, তুমি কি তাতে আনন্দ পাও না? কী করব মা? দেশ যে পরাধীন! দেশবাসী বিদেশির অত্যাচারে জর্জরিত! দেশমাতৃকা যে শৃঙ্খলভাবে অবনতা, লাঞ্ছিতা, অবমানিতা! তুমি কি সবই নীরবে সহ্য করবে মা? একটি সন্তানকেও কি তুমি মুক্তির জন্য উৎসর্গ করতে পারবে না? তুমি কি কেবলই কাঁদবে?’

হ্যাঁ, ছয় সন্তানের জননীর কাছে একটি সন্তানের আত্মাহুতি চেয়েছিলেন দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য, আর সেই সন্তানটি ছিলেন তিনি নিজেই। মনে পড়ে কে সেই বিপ্লবী নারী?

না, সে আর অন্য কেউ নয়, চট্টগ্রামের বিপ্লবী কন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। যিনি ছিলেন সদা অবিচল তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠায়, দেশপ্রেম চেতনায়, মুক্তির আকাঙ্ক্ষায়। যাঁর কাছে তাঁর নিজের জীবনের চেয়েও বেশি মূল্যবান ছিল দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্তি।

১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের ঘটনা।পরনে মালকোঁচা ধুতি। মাথায় গৈরিক পাগড়ি, গায়ে লাল ব্যাজ লাগানো শার্ট। ইনিই দলনেতা। এক হাতে রিভলবার, অন্য হাতে হাতবোমা। দলের সদস্যসংখ্যা সাত। সবার পরনে রাবার সোলের কাপড়ের জুতো। সবাই প্রস্তুত। দলনেতার মুখে ‘চার্জ’ শুনতেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল শত্রুর ওপর। ইউরোপিয়ানরা তখন ক্লাবে মত্ত নাচ–গানে। পিকরিক অ্যাসিডে তৈরি বোমাটি বর্জ্রের মতো ভয়ংকর শব্দে ফেটে পড়ল; হলঘরে তখন শুধু ধোঁয়া। দলনেতাই এগিয়ে গেল সবার আগে। অথচ এটাই তার প্রথম অভিযান। বোমার বিস্ফোরণ, গুলির শব্দ, শত্রুর মরণ চিৎকার—সব মিলে এলাকাটা যেন পরিণত হলো এক দক্ষযজ্ঞে!
এটা কোনো অ্যাডভেঞ্চার ফিল্মের দৃশ্য নয়। এটি ইতিহাসের এক অনন্য ঘটনা। আমরা আরও রোমাঞ্চিত হই—যখন জানি, ২১ বছরের সেই দলনেতা পুরুষ বেশে একজন নারী! বাংলাদেশেরই নারী! নাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।

আক্রমণ শেষে ফেরার সময়ে প্রীতিলতা গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় ধরা পড়ার আগে সঙ্গে রাখা পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কারণ, ধরা পড়লে বিপ্লবীদের অনেক গোপন তথ্য ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ফাঁস হয়ে যেতে পারে।

প্রীতিলতা মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুকে বরণ করে নেন। তাঁর আত্মদান বাংলা ও ভারতের বিপ্লবীদের আরো উদ্দীপিত ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সক্রিয় করে তোলে।

প্রীতিলতার মৃতদেহের পোশাকে নিজ হাতে লেখা ছিল, ‘আমরা দেশের মুক্তির জন্য এই সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি। অদ্যকার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি অংশ। ব্রিটিশরা জোরপূর্বক আমাদের স্বাধীনতা ছিনাইয়া লইয়াছে।’

প্রীতিলতা আজ নেই। কিন্তু তাঁর সেই বিপ্লবী চেতনার স্ফুলিঙ্গ এখনো আমাদের উজ্জীবিত করে দেশপ্রেম এবং স্বাধিকার আন্দোলনে। তিনি মুক্তির আলোকবর্তিকা হয়ে চিরজাগরূক হয়ে আছেন আমাদের হৃদয়তন্ত্রীতে।

Thursday, September 29, 2016

পাকিস্তান-রাশিয়ার যৌথ মহড়ায় কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছে ভারতের

By On 2:51:00 AM
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী। উরির ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে ঠিক তখনই ফ্রেন্ডশিপ ২০১৬ নামে পরিচিত এই সামরিক মহড়া শুরু হল।

মহড়ায় ৭০ জন রুশ এবং ১৩০ জন পাকিস্তানী সৈন্য অংশ নিচ্ছে। মহড়া চলাকালীন, রাশিয়ান বাহিনী পাকিস্তানী সৈন্যদের ভিএসএস ভিনটোরেজ নামক স্নাইপার রাইফেল এবং এনআর এস-২ যুদ্ধ ছুরিসহ অস্ত্রসম্ভার প্রদর্শন করে। সোমবার মহড়ার প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ফ্রেন্ডশিপ-২০১৬ সামরিক মহড়া ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

সামরিক বিশ্লেষকদের মত হচ্ছে, এই মহড়ায় পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং বিপাকে পড়েছে ভারতের মোদি সরকার। কারণ এটাকে পাকিস্তানের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের দৃষ্টিতে এটি ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা। এছাড়াও মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মহল।

মহড়া শুরুর পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া ভালভাবে এগিয়ে চলেছে।

এর আগে গত শুক্রবার রুশ সেনাদের নিয়ে একটি সামরিক পরিবহন বিমান পাকিস্তানের রাওয়াল পিন্ডিতে অবতরণ করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আইএসপিআরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আসিম বাজওয়া ওইদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টুইটারে রুশ সেনাবাহিনীর অবতরণের ছবি প্রকাশ করেন।

এর পর মঙ্গলবার দুই দেশের ৪০ জন সেনা সদস্য একটি পর্বত প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নেয়। তা ছাড়া সাউদার্ন সেনাবাহিনী জেলা পর্বত পদাতিক কারচে ভিত্তিক ব্রিগেড থেকে এ মহড়ার তত্ত্বাবধান করা হয়। পাহাড়ে উঠার সময় নিরাপত্তা বিধানের কৌশল দেখানো হয়।

শীতল যুদ্ধের সময়কার পরস্পর বিরোধী শিবিরের দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ সামরিক মহড়া এরই মধ্যে সামরিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তারা এ সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর নজর রাখছেন। এর আগে রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই মহড়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের যে ঠান্ডা লড়াই ছিল এবার তা প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত সুসম্পর্কের দিকে এগোচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটার ফলেই নিজেদের পররাষ্ট্র নীতিতে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। এয়ারক্রাফট কেনার জন্য এবার অন্য দেশকে বেছে নিচ্ছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে রাশিয়া সফর করেছেন পাকিস্তানের আর্মি, বিমান ও এয়ারফোর্সের চিফ। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে এমআই-৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার সংক্রান্ত চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে এসইউ-৩৫ ফাইটার জেটও কিনতে পারে পাকিস্তান।

বর্তমানে চেরাতে পাক সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সেস ট্রেনিং সেন্টারে মহড়া চলছে। মহড়া ১০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ অংশ নিবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি সেনাঘাঁটিতে দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে এ মহড়া রাশিয়া বাতিল করে দিয়েছে এবং একে ভারতীয় কূটনীতির বিজয় বলে দাবি করেছিল ভারতীয় কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম। যা পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে রাশিয়া-পাকিস্তান যৌথ মহড়াকে ভারতীয় পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতা বলে পরিষ্কার ভাষায় অভিযোগ করেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্থনি বলেন, রাশিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালাচ্ছে দেশটি। যা ভারতীয় পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

Sunday, September 25, 2016

বোমা গণনা চলছে!!!!

By On 4:30:00 AM
ইউসুফ হায়দার

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা হিসাব-কিতাব। পাকিস্তানের পক্ষে চীন, সৌদি আরব, ইরানের শক্তিশালী অবস্থানের বিপরীতে ভারতের পক্ষে আমেরিকার পার্লামেন্টে পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র ঘোষণার বিল সার্বিক বিবেচনায় অস্ত্রের বাজারকে গরম করে তুলছে। তবে ভারতের বহু পুরানো বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়া এই উত্তেজনার মধ্যেও পাকিস্তানের সাথে যৌথ মহড়ায় নেমে পড়ায় পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে।

এই উত্তপ্ত অবস্থার অবসানে যাদের ভূমিকা রাখার কথা ছিল সেই বিশ্ব মোড়লরাই যখন পক্ষ নিতে শুরু করেছে, তখন ধরেই নেওয়া যায় যেকোনভাবেই হোক এখানে একটা বড় ধরনের শক্তির মহড়া হয়ে যাবে।তাই কার হাতে কি আছে সেই নিয়ে চলছে বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যম ও সংস্থার হিসাব-নিকাষ। আর পাকিস্তান-ভারত উভয়েই যেহেতু পারমাণবিক শক্তিধর, সে কারণে সকলের প্রথম দৃষ্টি পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ও তার ব্যবহার উপযোগিতার দিকেই।

বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের বোমার সংখ্যা বেশি, এমনকি শক্তির দিক থেকেও বেশি। ভারতের হাতে মজুদ পারমাণবিক বোমার সংখ্যা ৯০ থেকে ১০০টি এবং পাকিস্তানের আছে ১০০ থেকে ১২০টি। তবে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে পাকিস্তানের বোমার সংখ্যা আরও বেশি। তবে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বেশি হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে দুর্বল অবস্থানে আছে পাকিস্তান।

স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো তাদের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্বেগজনক মাত্রায় তৎপর রয়েছে। স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরআই) বা সিপ্রি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পারমাণবিক অস্ত্রে সক্ষম ৯টি দেশ, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও উত্তর কোরিয়া আসলে ভেতরে ভেতরে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার কর্মসূচিকে সমৃদ্ধই করছে৷

অন্যদিকে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচেভেলে কার হাতে ক’টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে তার হিসাব দিয়ে বলেছে, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি আছে রাশিয়ার হাতে। দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা সাড়ে সাত হাজারের বেশি৷ ১৯৪৯ সালে সেদেশ প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল৷ দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা এটা যুদ্ধে ব্যবহারও করেছে৷ দেশটির এখন সাত হাজারের বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে৷

এর পরেই আছে ফ্রান্সের অবস্থান। তাদের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে তিনশ’র মতো৷ এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে৷ দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়৷ পিছিয়ে নেই চীনও। আড়াইশ’র মতো পারমাণবিক বোমা আছে তাদের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে এসব বোমা ছোঁড়া সম্ভব৷

দুইশ’র বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়৷ ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ দেশটির আছে শতাধিক আণবিক বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি৷ অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোন এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে৷ অন্যদিকে ভারত প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে৷ দেশটির কাছে নব্বইটির বেশি আণবিক বোমা রয়েছে৷


ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না৷ দেশটির আশিটির মতো পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে ধারণা করা হতো। তবে সম্প্রতি সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের ইমেল হ্যাক করে হ্যাকাররা যে তথ্য পেয়েছে তা ভয়াবহ। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তাদের ২০০টি পারমাণবিক অস্ত্রের সবগুলোই ইরানের দিকে তাক করে রেখেছে।

সব চেয়ে কম পারমাণবিক বোমা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার হাতে।এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে দশটিরও কম বোমা থাকার কথা জানা গেছে।

এখানেই শেষ নয়, ইতোমধ্যে জাপান, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকার তাদেরও রয়েছে বলে জানিয়েছে।


কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত পারমাণবিক অস্ত্র এসব দেশ ব্যবহার করবে কার বিরুদ্ধে? মানুষের বিরুদ্ধে?আরও একটি প্রশ্ন, বিশ্বের ৬শ’ কোটি মানুষকে মারতে হলে, কিংবা পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করতে হলে কি এত অস্ত্রের দরকার আছে?

Wednesday, September 21, 2016

আমাদের মাহফুজা এখন জায়ান্ট গুগলের কনসালট্যান্ট

By On 9:36:00 PM
আমাদের মেয়ে মাহফুজা, বাংলাদেশের মেয়ে মাহফুজা, আরেকটু সহজ করে বলা যায় আমাদের গাজীপুরের মেয়ে মাহফুজা এখন বিশ্ব জায়ান্ট গুগলের গর্বিত স্টাফ।উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায়। পড়াশোনা শেষ করার আগেই তাঁর মেধা এবং কৃতিত্বের জন্য বনে যান গুগলের কসালট্যান্ট।

বিশ্ববিখ্যাত গুগল মালয়েশিয়া অফিসে বাংলাদেশ ও নেপালের কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পান।বর্তমানে তিনি কুয়ালালামপুরে কেএল সেন্ট্রাল গুগল অফিসে কর্মরত।গুগল অফিসে বসে আমাদের মাহফুজা শুধু কনসালট্যান্সিই করছেন না, বরং গুগলের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যগুলো বিশ্বের দরবারে অনায়াসে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশকেও।

২০১১ সালে মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় তেনাগা ন্যাশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মাহফুজা কানান। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর হাজি মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন এবং হাসিনা বেগমের মেয়ে মাহফুজা ২০০৮ সালে এমইএইচ আরিফ কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ এবং ২০১০ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। সেই সঙ্গে স্কলারশিপও পান তিনি।

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনালের (ইউনিটেন) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে গুগলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের মাহফুজা কানান মারিয়াম। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমই তার সাফল্যের মূল বলে সাংবাদিকদের জানালেন তিনি।

শনিবার (২০ আগস্ট) ইউনিটেনের ১৯তম সমাবর্তনে অংশ নেওয়া এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর একজন মাহফুজা কানান। ইয়াইয়াসান খাজানাহ ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছেন তিনি। বিদেশে পড়াশোনা করে অনেক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি জেনেছেন বহু সংস্কৃতি ও ভাষা। মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করতে পেরে গর্ববোধ করেন মাহফুজা।

ইউনিটেনের ১৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় মাহফুজা কানান বলেন, ‘দেখতে দেখতে মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর কাটিয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। বিশ্বের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। সত্যি খুব ভালো লাগছে। আজ আমি গর্বিত যে, আমি এত বড় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিলাম।’ হ্যাঁ, সৌভাগ্যবান আমরাও, তোমার মতো মেধাবী মুখ মাহফুজাকে পেয়ে।

Tuesday, September 20, 2016

নজরুলের শেষ জীবনের কথা

By On 8:25:00 AM
১৯৪২ সালে এক দুরারোগ্য মস্তিষ্কের রোগ নজরুল সম্পূণ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
অনেক চিকিংসার পরও তিনি আর সুস্থ হননি।
১৯৭২ সালের ২৪শে মে কবিকে কলকাতা থেকে বাংলাদেশ সরকার এ দেশে নিয়ে আসেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবির মযাদায় অভিষিক্ত করেন।

১৯৭৬ সালের ২৯শে আগস্টে ঢাকা পিজি হাসপাতালে (বতমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) নজরুলের মৃত্যু হয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

গণমানুষের এই কবি চিরকাল আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

Monday, September 19, 2016

চা বাগানের দেশে

By On 8:19:00 PM
সিলেট জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। হযরত শাহপরান (র:) এবং হযরত শাহজালাল (রঃ) এর পুণ্যভূমি এই সিলেট। বাংলাদেশের মরমী কবি এবং বাউল সম্রাট হাসন রাজার জন্মস্থানও এটি। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ জেলার ভূমিকা অপরিসীম। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জি ওসমানী এ জেলারই কৃতী সন্তান।
চা শিল্পের কারণে বিশ শতকের প্রথম দিকে সিলেট শহরের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের যে কয়টি অঞ্চলে চা বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে সিলেট অন্যতম। ১৮৪৯ সালে উপমহাদেশের প্রথম চা বাগানটি প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট শহরে এবং বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৩টি চা বাগানই এই জেলায় অবস্থিত। তাইতো দেশের চা বাগানের কথা উঠলে সবার আগে চলে আসে সিলেটের নাম। সিলেটের চায়ের রঙ, স্বাদ অতুলনীয় কেননা দেশের উৎকৃষ্ট মানের চা এখানেই উৎপাদিত হয়। সিলেটে প্রবেশের শুরু থেকেই চা বাগানের অপরূপ দৃশ্যগুলি আপনার মন ভরিয়ে দেবে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ গোটা সিলেটকেই আচ্ছাদন করে রেখেছে এক ঐস্বর্গীক সমারোহে। এখানে সরকারী ও বেসরকারী তত্ত্বাবধানে দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে প্রায় ১৩৫টি বাগানই পরিচালিত হয়ে আসছে। চা ছাড়াও আরও একটি কারনে এ অঞ্চল সমৃদ্ধ, এখানকার পাথর, বালির গুণগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাছাড়াও সিলেট জেলার ভুগর্ভে মজুদ প্রাকৃতিক গ্যাস সারা দেশের চাহিদার সিংহভাগই পূরণ করছে।

১৯১২-১৫ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের শাখা সিলেটের সাথে সংযুক্ত হলে দেশের অন্যান্য জেলাগুলির সাথে সিলেটের সংযোগ সাধিত হয়। সিলেটে রয়েছে দেশের দর্শনীয় ও কিছু পর্যটনের বিশেষ স্থান, তাদের মধ্যে- জাফলং, মালনীছড়া চা বাগান, লোভাছড়া চা বাগান, লাক্কাতুরা চা বাগান, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা, রাতারগুল, বিছানা কান্দি, শ্রী চৈতন্য দেবের মন্দির, লালা খাল, পান্থুমাই ইত্যাদি অন্যতম।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৃহত্তর সিলেটের প্রবাসী জনগণের বেশ অবদান রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সিলেট জেলার বিপুল সংখ্যক লোক অভিবাসন গ্রহণ শুরু করে এবং তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করছে। ১৯৫০ ও ১৯৬০ দশকে প্রবাসী সিলেটিদের কল্যানে সিলেটের শহর দ্রুত নগরায়ণ ঘটতে থাকে, বর্তমানেও সেই ধারা অব্যাহত আছে।

Friday, September 16, 2016

বাংলাদেশের সেরা দশটি জলপ্রপাত!!!!!

By On 9:59:00 PM
হ্যালো… বন্ধুরা! কেমন আছেন আপনারা ? বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে এসে , আজ হাজির হয়েছি বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ঝর্না / জলপ্রপাত নিয়ে। চলুন তাহলে ঘুরে আসি এই ১০ টি ঝর্না / জলপ্রপাত থেকে।

১. শুভলং ঝরনা: পার্বত্য রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার থেকে জলপথে প্রায় ৮ কিলোমিটার যেতে হবে শুভলং ঝরনায় পৌছাতে। রাঙ্গামাটির অন্যতম সুন্দর দর্শনীয় স্থান গুলর মধ্যে এটি একটি। প্রকৃতির অসাধারণ সৃষ্টি এই শুভলং ঝরনা। এটি দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে বর্ষার সময় বা বর্ষার পর পরই। কারণ এই সময়েই ঝরনায় অধিক পরিমাণ পানি থাকে।

২. হামহাম ঝরনা: এই ঝর্নাটি সম্পর্কে যা বলবো তাই হয়ত কম হয়ে যাবে। ঝরনার পানি প্রবাহ খুব বেশি আর এই ঝরনার পানি আয়নার মতো স্বচ্ছ। এখানে উরন্ত মেঘ গুলো কুয়াশার মত সৃষ্টি করে। শীতল বাতাশে আপনার শরীর শির শির করে উঠবে।মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের কাছাকাছি উচ্চতায় এই ঝরনাটি ।

৩. জাদিপাই জলপ্রপাত: বান্দরবানের কেওক্রাডংয়ের পরে অবস্থিত পাসিং পাড়াকেই দেশের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম হিসেবে ধরা হয়। যা প্রায় ৩২০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। পাহাড়ের এত উঁচুতে বাংলাদেশের আর কোনো স্থানে জনবসতি নেই। পাসিং পাড়া পাড় হয়ে নিচের দিকে নামলেই জাদিপাইপাড়া। এই জাদিপাইপাড়া থেকে ঘণ্টাখানেক নিচের দিকে নামলেই জাদিপাই জলপ্রপাত এর অবস্থান। এই ঝর্নার পানির ধারার নিচে একটি পুকুরের মত সৃষ্টি করেছে। সারা রাস্তার ক্লান্তি নিমেষেই দূর হয়ে যাবে এই ঝর্নার নিরমল পানির স্পর্শে।

৪. খইয়াছড়া ঝরনা: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এই ঝরনাটির অবস্থিত।মূলত বর্ষাকালেই এই ঝরনাটি খরস্রোতা হয় আর সারাবছর অল্প ধারায় প্রবাহিত হতে থাকে ।পায়ে হেটে বেশ কিছু পাহারের চরাই উতরাই পাড় হয়ে এই ঝরনার নিচে পৌঁছান যায়। আপনি চাইলে এই ঝরনার উপরের দিকের থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।

৫. ফাইপি জলপ্রপাত: ফাইপি জলপ্রপাতটিও বান্দরবানেই অবস্থিত। অপরূপ এই জলপ্রপাতটি বান্দরবানের থাইকাং পাড়াতে অবস্থিত। আপনি এই জলপ্রপাতে যেতে পারেন রুমা বা থানচি থেকে।

৬. সহস্রধারা: এই ঝরনাটি উপভোগ করতে আপনাকে যেতে হবে সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে। সহস্রধারা থেকে বছরজুড়েই অজস্র ধারায় পানি ঝরে। বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত একসাথে হয়ে এই ঝর্নাটি গঠন করেছে এবং অবিরাম ধারায় ঝরছে বলেই হয়তো এই ঝর্নাটির নাম সহস্রধারা রাখা হয়েছে।

৭. নাফাখুম জলপ্রপাত: অনেকে একে বাংলার নায়াগ্রা বলে থাকেন।রেমাক্রি থেকে প্রায় তিন ঘণ্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিতে হয় আশ্চর্য সুন্দর এই নাফাখুম জলপ্রপাত জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ।মারমা অধ্যুষিত একটি এলাকার নাম রেমাক্রি, যা বান্দরবানের থানচি উপজেলায় অবস্থিত। এই এলাকার নামেই এখানে যে রেমাক্রি খালটি রয়েছে। রেমাক্রি খালের পানি কিছুদূর প্রবাহিত হয়ে নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে ২৫-৩০ ফুট নিচে পতিত হয়েছে। আর সৃষ্টি করেছে নাফাখুম ঝরনা।

৮. বাকলাই ঝরনা : বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার বাকলাই পাড়ায় অবস্থিত চমৎকার এই ঝরনাটি। এই এলাকার নামকরণ বাকলাইপাড়া হয়েছে এই ঝরনার নামেই। এটিই সবচেয়ে পরিচিত গ্রাম কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং যাওয়ার পথে । ঝরনায় যাওয়ার পথে ছোট
ছোট পাহাড়ি নদী যেমন রয়েছে তেমনি এই ঝর্নার অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করবে।

৯. রাইখং জলপ্রপাত: যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাদের জন্য এ জায়গাটি আদর্শ। দুর্গম পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তা আর খাল পার হওয়ার মতো মানসিক এবং শারীরিক শক্তি ও সামর্থ যদি আপনার থেকে থাকে তবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন রাইখং জলপ্রপাত থেকে। এটি রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত হলেও, আপনাকে এখানে যেতে হবে বান্দরবান হয়ে।

১০. অমিয়াখুম জলপ্রপাত : আমাদের দেশে যে এমন চোখ ধাঁধানো যায়গা রয়েছে আপনি হয়ত নাও বিশ্বাস করতে পারেন। এই জলপ্রপাত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত। এর প্রবাহমান সচ্ছ জলে আপনার মন একবার হলেও ভাববে ঝাপ দাওয়ার কথা ।

আজকের পর্বে এই ছিল সেরা ১০ টি ঝর্না / জলপ্রপাত। আশা করি , আপনার পরবর্তী অ্যাডভেঞ্চারের স্থানগুলোর মধ্যে এর কোন একটি থাকবে। ততদিন পর্যন্ত, ভালো থাকুন সুস্থ থাকু।

Wednesday, September 14, 2016

রক্তাক্ত ফেসবুক, রক্তাক্ত ঈদ মোবারক

By On 8:59:00 PM
চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। রক্তে রক্তে একেবারে রক্তাক্ত। শুধু রাস্তাঘাট না, ফেসবুকে ফিডও। কোরবানির পশু জবাই করার ছবি, কেউ ছোরা হাতে ছবি, কেউ রক্ত হাতে ছবি, কেউ কোরবানির পশুর গলায় ছুরি চালানো অবস্থায় ছবি – কি নেই! অবশ্য প্রতিবারই কোরবানির ঈদে আমাদের স্যোশাল মিডিয়াগুলো এভাবেই রক্তাক্ত হয়ে যায়। ফেসবুকে কোরবানির পশুর রক্তাক্ত ছবি দিলে কি এক্সট্রা পূন্য পাওয়া যায়? এ ব্যাপারে বিশদ কোন ধারনা নেই। তবে একটা কথা তো ছোটবেলা থেকে শিখেছি – ত্যাগ শো-অফ করলে ত্যাগ আর ত্যাগ থাকে না, ভোগ হয়ে যায়।

ফেসবুকের নিউজফিডের অবস্থা এমনই হয়ে আছে। ব্যাপারটা একটু ব্রুটালও বটে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এর বিশালতা বোঝার মত জ্ঞান আমার নেই। কিন্তু এভাবে শো-অফ করার মানে কি? কোরবানির ঈদ তো ত্যাগের মহিমার ঈদ তাই না! এটাকে এভাবে শো-অফ করার কি আছে? তাও রক্তাক্ত ছবি দিয়ে? এটা কি কোন ক্রেডিট নাকি এক্সট্রা সওয়াব কামানোর উপায়? এভাবে কি ত্যাগ হয়?

আসলে আমরা এত বেশী স্যোশাল হয়ে গেছি এখন ফেসবুকের কল্যানে যে, একেবারে স্যোশালিজম মা-বাপকেও মেরে ফেলছি মনে হয়। এত বেশী শেয়ারিং আর কেয়ারিং হওয়া ভাল না। কোরবানির ঈদ কি একটু ভাব-গাম্ভীর্যে পালন করা উচিত না! নিজেদের ভেতর, আপনজনদের ভেতর রেখে? কোরবানি হওয়া পশুর জবাই করার ছবি দিয়ে কি আমরা ঈদকে নতুন আঙ্গিকে সেলিব্রেট করি। প্রিয় কোন পশুর কোরবানী দিয়ে এই ঈদ পালন করার নিয়ম জানতাম। তো, প্রিয় পশুর জবাই করার পর তামিল ছবির ভিলেনের মত ছোরা-রক্ত হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে সবার সাথে দিয়ে কি একেবারে বেহেশতে যাবার ডিরেক্ট লাইন পাওয়া যাচ্ছে? ছবি তো ছবি, আজ অলস সময়ে সকালে ফেসবুকে ঢুকে দেখি গরু জবাই করার ভেশ কয়েকটা লাইভ ভিডিও!! হাসব না কাঁদব সেই মুহুর্তে চিন্তা করছিলাম। ব্যাপারগুলো কি একটু ভালগার না?

আমরা কি একটু কন্ট্রোল্ড হতে পারি না? ত্যাগ তো ত্যাগই তাই না? বুঝলাম সবার শেয়ার করার, মত প্রকাশ করার, যা খুশী তা করার অধিকার আছে অনলাইনে কিন্তু একটু মনে হয় নিজেদের নিয়ন্ত্রন করা দরকার। এমন পাইকারী হারে ভালগার হয়ে যাওয়া কি আর কোন দেশে আছে? কখনও দেখেছেন? একমাত্র আমাদের দেশেই আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই অভ্যাস আসলেই ত্যাগ করা উচিত।

স্মার্টনেসেরও একটা লিমিট আছে। এরকম ভালগার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করে স্যোশাল নেটওয়ার্ককে ভালগার রক্তাক্ত করে দেয়া মানে কোন স্মার্টনেস না বা শেয়ারিং কেয়ারিং না। বরং নিজের ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়। যারা এসব করছেন, দয়া করে এসব এবার বাদ দেন। কদিন পরে আপনারা নিজেদের বাথরুম করা অবস্থার ছবি পোস্ট করে বলবেন “ফিলিং অসাম”। বাদ দেন এসব ভাই। একটু মানুষ হন।

Tuesday, September 13, 2016

আশরাফুল আশরাফুল

By On 11:05:00 PM
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ফিরছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১৩ সালে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ এ ক্রিকেটারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। আইসিসির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিপিএল’এ এখনি আর খেলতে পারছেননা, তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৮সাল পর্যন্ত। তবে আশার কথা হল দেশের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার স্বল্প পরিসরে হলেও ঘরোয়া ক্রি কেটে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।
নিজের ভুলকে শুধরিয়ে এতদিন ধরে মুখিয়ে থাকা ভক্ত অনুরাগীদের আবারো চাঙ্গা করতে ব্যাটে ঝড় তুলবেন দেশের এই লিটল মাস্টার আর এটাই সবার প্রত্যাশা। ভুলে গেলে চলবেনা তার অনুপস্থিতিতে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে, তাই দেশের এই লিটল মাস্টারকে এখন অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। নিজেকে আবারো ফিট ও সেরা প্রমাণ করতে এই স্বর্ণালী সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তার এই অসময়ে দেশের মানুষের সমর্থন ও দোয়া তাকে অনেখানি শক্তি যুগিয়েছে তা নিঃসন্দেহে অনুমান করা যায়। মানুষ হিসেবে কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, নিজের ভুল বুঝতে পেরে আশরাফুলের সরল স্বীকারোক্তি তাই ক্রিকেট বোদ্ধারা ভালভাবেই গ্রহণ করেছে। নিজেকে শুধরাতে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন অংশ নিয়েছেন ফিক্সিং, দুর্নীতি বিষয়ে বিসিবি ও আইসিসির প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। আর এসব পুনর্বাসন ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম মনিটরিং করে বিসিবি রিপোর্ট করেছে আইসিসিতে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলা ম্যাচে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পরেন আশরাফুল আর তা প্রমানিত হওয়ায় বিসিবির গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে আট বছর এবং শর্তসাপেক্ষে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী নিষিদ্ধ ক্রিকেটাররা শর্ত সাপেক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে পারবেন। এজন্য স্বীকারোক্তির পাশাপাশি নিষিদ্ধ খেলোয়াড়কে বোর্ড থেকেও আইসিসি বরাবর আনুমতি চাইতে হবে। সেই অনুযায়ী আশরাফুলের আপিলের ভিত্তিতে এবং ক্রিকেটে তার গুরুত্ব অনুধাবন করে নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ২বছর এবং আন্তর্জাতিক ও বিপিএল এ ৫বছরে সীমাবদ্ধ রাখা হয়।

১৭বছর বয়সে অভিষিক্ত হওয়া প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারে আছে ৬১টি টেস্টে ২৭৩৭ রান, ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ৩৪৬৮ রানসহ ২৩টি টি-২০ এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আর দেশের হয়ে লড়া এই ক্রিকেটার প্রতিটি ম্যাচেই তার গুরুত্বকে প্রমাণ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটের অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই ক্রিকেটারের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আশার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। ক্যারিয়ার পুনুরুজ্জীবিত করতে এখনই সুযোগ আশরাফুলের পূর্বের মত জ্বলে উঠার। শুভ কামনা রইল …

Sunday, September 11, 2016

বাংলাদেশের সেরা দৈনিক পত্রিকা কোনটি?

By On 7:28:00 AM

এই মুহুর্তে বাংলাদেশে একটা জিনিষের অভাব নেই – সেটি হলো অনলাইন পত্রিকা। অবস্থা এখন এমন হ অয়ে দাড়িয়েছে যে কোন রকমে একটা সাইট দাঁড় করাতে পারলেই অনলাইন পত্রিকা হয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে বলে রাখি এই ফাকে – আমরা কোন অনলাইন পত্রিকা না বা তার ধারেকাছেও নেই। মাঝে মাঝে কিছু কেইস স্টাডি মূলক পোস্ট দেই আর দেশের জন্য দেশপ্রেমমূলক কিছু আর্টিকেল বা অ্যানালিসিস পাবলিশ করি। এটি আমাদের কোন ধরনের ব্যবসায়িক অংশও না এবং কোন বিজ্ঞাপনও নেই।

যাই হোক, ফিরে আসি মূল প্রসংগে। অনলাইন নিউজের ঠেলায় এখন সামাজিক মাধ্যমের ফিডে টিকাই বড় দায়। তবে একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করি প্রায় সময়। নতুন কোন খবর হলে সেটি নিয়ে যখন একটি পত্রিকা রিপোর্ট করে, তখন দেখা যায় আরও হাজার হাজার পত্রিকায় একই খবর। একই খবর থাকাটা দোষের কিছু না, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো একেবারে প্রতিটি শব্দ, লাইন, লেখার ধরন – সবকিছু আইডেন্টিক্যাল। বুঝাই যায়, এক জায়গা থেকে সব কপি করা হয়েছে। একই খবর আরও ১০০ টা সাইট কপি করে লাভটা কি? এরপর, কোন পত্রিকাটা যে আসল পত্রিকা সেটা বোঝাও বড় দায়। ২/১ টা অনলাইন পত্রিকা বাদ দিলে, বেশীরভাগের সাইট লিঙ্কে ঢুকার পর দেখা যায় ১০১ টা পপ-আপ মেসেজ আর বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের ফাকে ফাকে মূল খবরটা খুজে বের করতে হয়। ভুলে যদি সাইটের কোন খালি জায়গায় ক্লিক পরে তাহলে আজেবাজে লিঙ্কে ঢুকে যায়। বিজ্ঞাপনের জন্য এসব করে আর এসমস্ত লিঙ্কগুলোতে বেশীরভাগ সময় ভাইরাস বা ট্রোজান থাকে যা আপনার কম্পিউটার এবং তথ্যের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুকি!

ছাপানো পত্রিকাগুলো নিয়ে খুব একটা বিশেষ কিছু বলার নেই – অন্তত বোঝা যায় তারা আসল পত্রিকা। ভেতরের খবর যাই থাকুক না কেন। মূল সমস্যা এই নব্য গজিয়ে উঠা অনলাইন পত্রিকাগুলো নিয়ে। অথেনটিসিটি বূঝার কোন উপায় নেই। আর ক্লিক রেট বাড়ানোর জন্য এসব পত্রিকাগুলোর নিউজ টাইটেল হয় একটা আর খবর থাকে আরেকটা। এটাকে ক্লিক-বেট বলে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন থাকা দোষের কিছু না। তাদেরও তো চলতে হবে, কিন্তু এতটাই বেশী যে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে এখন। আর ভুয়া খবরে চারিদিকে সয়লাব!আর উদ্ভট সব নিউজ টাইটেল বা আর্টিকেল টাইটেল দেখে মানুষও ক্লিক করে ভিজিট করছে সেসব সাইটগুলো। সরকারের বেশ কিছু নীতিমালা নতুন করলেও এগুলোর আদৌ কোন কার্যকারিতা আছে বলে মনে হয় না। মোটামুটি একটা ২০-৩০ হাজারের ফেসবুক পেজ বানিয়ে আর ওয়ার্ডপ্রেসে একটা সাইট বানিয়ে যেকোনকিছুর শেষে ২৪ লাগিয়ে একটা ডট কম – বেস হয়ে গেলো আপনার অনলাইন পত্রিকা। এরপর অন্যান্য সাইট থেকে শুধু কপি পেস্ট করলেই হলো – আর কি লাগে!

প্রথমদিকে অনলাইন পত্রিকা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এখনও যে নেই তা না কিন্তু মানুষের গ্রহনযোগ্যতা একটু হলেও কমে যাচ্ছে এসব কারনে। আর ইদানীং এসব তথাকথিত অনলাইন পত্রিকাগুলোর আজেবাজে আর্টিকেল পোস্ট করাটা একটা নিয়মে দাড়িয়েছে। যেমন “কোন ১০ ধরনের মেয়েরা যৌন সঙ্গমে এক্সপার্ট” বা “কোন ৫ ধরনের পুরুষকে বিয়ে করবেন” ইত্যাদি। এগুলোতো তাও এখন নরমাল হয়ে দাড়িয়েছে। এখন তো “যৌন কেলেঙ্গকারী” বা “কাপড় খুলে ফেললেন এক নায়িকা” টাইপের নিউজ টাইটেল ছাড়া কিছুই হিট করে না। মানুষও ইচ্ছেমত ক্লিক করে এসব সাইটে ঢুকে। কারন ডিমান্ড যদি না থাকে তাহলে এরা এসব করত না। একটা উপায়ে কিন্তু এসব তথাকথিত পত্রিকাগুলো বড় কোন ধরনের সামাজিক অবক্ষয়েরই কারন হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে পাইরেসীর মত অপরাধ। মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে।

আসলে কোন পত্রিকাটা ফলো করব এটা নিয়েই অনেক কনফিউশন কাজ করে। কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না আবার নিউজ আপডেটও পেতে ইচ্ছা করে। কোন পত্রিকা হলুদ সাংবাদিকতায় আছন্ন আবার কোন পত্রিকা বাজে খবরে শেষ আবার কোথাও ক্লিক-বেট। আসলে কোনটা অথেনটিক। কাকে বিশ্বাস করা যায়! জাতীয় পত্রিকা বলেন আর অনলাইন – সবখানেই কোন না কোন ভেজাল। তাই ঠিক করলাম একটা সার্ভে বা ইউজার ভোট হয়ে যাক। আপনাদের কাছ থেকেই জিজ্ঞেস করে নেই, কোন পত্রিকা আসলে ভাল হতে পারে। তাই নীচে একটা ভোটিং অপশন জুড়ে দিলাম। আপনারাই বলে দিন কোন পত্রিকা ভাল। যারা ফেসবুক থেকে স্মার্টফোন ব্যবহার করে সরাসরি এটি পড়ছেন, তারা দয়া করে নিউজ agobangla.blogspot.com এ গিয়ে ভোট দিন। আর যারা ডেস্কটপ থেকে এসেছেন তারা নীচেই ভোট দিতে পারেন।

Saturday, September 10, 2016

আবারো জংগী অভিযান, এবার দুই নারী জংগী আটক

By On 9:03:00 PM

এবার আজিমপুরে জংগি আস্তানায় চলছে । ইতিমধ্যে শারমিন নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করেছে। তাঁর বয়স ২৫। তার এক সহযোগীও আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। ৫ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। পুলিশ যখন বাড়িটিকে ঘিরে রাখে তখন পুলিশের দিকে জংগীরা বিস্ফোরক ছুড়ে।

এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন মাহতাব, জহিরুদ্দিন, রামচন্দ্র বিশ্বাস, লাভলু ও শাজাহান আলী। ঢামেকে তাদের চিকিৎসা চলছে।
নীচের অংশগুলো বিভিন্ন পত্রিকার নিউজ রেফারেন্স – ছবি – বাংলাট্রিবিউন

পুরান ঢাকার বাকরখানি

By On 8:09:00 AM
বাকরখানি বাংলাদেশে প্রচলিত খাবারগুলির মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি নাম যা পুরান ঢাকাবাসীদের প্রাত্যহিক সকালের নাস্তা হিসাবে খুবি জনপ্রিয়। পুরান ঢাকায় বাকরখানি ‘শুখা’ নামেও পরিচিত। এখানকার অলিতে গলিতে চোখে পড়বে ছোট বড় সব বাকরখানি তৈরির দোকান। ময়দার খামির থেকে রুটি বানিয়ে তা মচমচে বা খাস্তা করে ভেজে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের বাকরখানি তৈরি করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয় দোকানের সামনে। এটি একটি গোলাকৃতির রুটি যা তৈরি করা হয় প্রধানত গম, দুধ, লবণ, ডালডা, ঘি, পনির এবং খামির দিয়ে। পুরান ঢাকার বাকরখানির স্পেশালিটি হল এখানে সাধারণত ময়দার সাথে স্বাদবর্ধক অন্য কিছু মিশানো হয় না। যদিও চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাকরখানি রসালো ও সুমিষ্ট করতে চিনি কিংবা মধু ব্যাবহার করা হয়। পুরান ঢাকায় হাজারো পরিবার আছে যারা বংশপরম্পরায় বাকরখানির কারিগর। বাখরখানি বিশেষত তীক্ষ্ণ স্বাদযুক্ত উপাদান পনির, রোস্ট করা গরুর মাংস এবং মশলাযুক্ত পানীয়র সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় যা এখনও ঢাকার পুরনো অংশে দেখা যায়। প্রসিদ্ধ এই বাকরখানি একটা সময় কখনো কখনো উপঢৌকন হিসেবেও প্রেরিত হতো।

একজন আইএস এর করুণ কাহিনী

By On 5:08:00 AM


মা  মা গো মা …

তোমায় বলে বোঝাতে পারবো না কি এক দারুণ যাতনার মাঝ দিয়ে পার করছি এ জীবন ।

তুমি যে আমায় এক গৃহ শিক্ষক দিয়েছিলে যাতে আমি পরীক্ষ।য় ভালো করি … তোমার ইচ্ছাটা আমার মঙ্গলের জন্য , আমার ভালোর জন্য ছিল ।

কিন্তু তুমি তো জান না ওই ইবলিশ আমাকে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ইসলামের বীরত্বের কথা বলত , হজরত আলীর শক্তির কথা বলত , আর আমি মোসলমান বলে আমার খুব ভালো লাগতো । মাঝে মাঝে আমি পড়া বাদ দিয়ে ওই সব ইসলামের ইতিহাস শুনতাম ।

খালেদ বিন অলিদ , ইবনে সিনা তাঁদের কথা শুনতাম আর নিজেকে তাঁদের কাতারে চিন্তা করতাম ।

মা এ যে কি নেশা তুমি বুঝবে না ।

এক সময় আমার খেলাধুলা সব ছেড়ে খালি মনে হত এ জীবনে মহান আল্লাহতালার পথে কিছু করে যাই । কেমন এক নেশায় পেয়ে বসলো । আর আমার ওই গৃহ শিক্ষক আমাকে যার পরনায়  উৎসাহ দিতো । এক দিন তোমায় ছেড়ে , সামিয়া কে ছড়ে , সব খেলাধুলা   ছেড়ে , আমার প্রিয় মাতৃ ভূমি ছেড়ে ( এখন বুঝি বাংলাদেশ আমার কত প্রিয় ) ওই ব্যাটার , যাকে দেবতার মত বিশ্বাস করতাম , তার সাথে প্লেনে চড়লাম । জীবনে প্রথম প্লেনে চড়ছি শয়ে যে কি আনন্দ তোমায় বলতে পারবোনা ।

মা মা গো …।। এখন সারা রাত শুধু কাঁদি আর কাঁদি । আমায় ইচ্ছা মত বেরোতে দেয় না , কোন ফোন করতে দেয় না , কোন কিছু বললে কি এক ড্রিংক দেয় , আমি সব ভুলে যাই । আমার ওই গৃহ শিক্ষক আমায় রেখে আবার ঢাকা গেছে কোন নতুন ছেলে ধরে আনতে ।

মা জানো আমি তো বাঙালি আমার অনেক প্রশ্ন জাগে মনে । আমি নাকি মরলে বেহেস্ত যাব । সে  দিন জানতে চাইলাম যে  ইসলামে তো খুন করা বারন , তা হলে আমি বোমা মেরে মানুষ মারলে যে গুনাহ হবে তাহলে সে গুনাহগার কি করে বেহেস্ত যাবে?

বলে কি জানো , ধর্মে যুদ্ধে কোন পাপ নাই , খালি মানুষ খুন কর । আমি বললাম ঠিক আছে , তাহলে ইসলাম তো বলে , নারী ,শিশু , বড়ো মানে বুড় দের খুন না করতে । বলে এ কথা কোথায় পেয়েছ ? বললাম , আবু বকর ( রা ঃ ) কিতাব আল জাহিদ , বই এ।

পড়েছি । বলে কি জানো , নেতার আদেশ পালন করবে শালা বাঙ্গেলি বেশি কথা বলবি তো জানে মেরে ফেলব । আর থেকে থেকে কি সব খাই , সব ভুলে শুধু মনে হয় বিয়ে করি । আর কোথা থেকে কোন সব মেয়ে এসে এই সব আই এস দের  খাতির যত্ন করে ।

আর এক দিন আর এক বড়ো নেতাকে বললাম , লা কুম দীন ও কুম .. অয়ালিয়া দীন … ইসলাম তো অন্যের উপর ধর্ম চাপিয়ে দিতে বারন করেছে … ওই লোকটা আমার দিকে এমন এক চাহনি দিল যে আমি চুপসে গেলাম । মা মনে পড়ে তুমি অম্বর চাচার ঘরে যখন পার্টী চলছিল তখন চাচার মেয়ে কে গুলশানে তার রুমে ঘরের চাকর রেপ করে খুন করলো, পার্টীর কারনে চাচারা টের পেল না । তখন তুমি বলে ছিলে এক ছাদের নিচে মেয়ে খুন হচ্ছে আর বাবা বাজনার তালে নাচছে । এখন আমার মনে হয় কেন তুমি আমাকে আরও ভালবাসলে না , তা হলে আমি এই নরকের পথে পা বাড়াতাম না ।

মা মাগো , এরা কেমন এক রুমের মাঝে দশ জন কে শুতে দেয় , জামা কাপড় ধুতে পারি না। স্বাধীনতা বলতে কিচ্ছু নেই …

এক পরম যাতনায় দিন যাচ্ছে ।

এই জীবন থেকে মুক্তি পেতে আর কোন রাস্তা নেই কেবল আত্মহত্যা ছাড়া । তাই আমার অনেক বন্ধু তাড়াতাড়ি বাঁচার জন্য সুসাইড স্কোয়াডে যোগ দিয়ে বেঁচে যায় ।

এখানে একবার এলে মরণ ছাড়া গতি নেই । মা যদি পার তাহলে আমার বাঙালি ভ। ইদের বোল , কেও যাতে এই ভয়ঙ্কর মৃত্যু পথে পা না বাড়ায় । সারা পৃথিবীতে সরিয়া আইন কায়েম করবে , পাগল ছাড়া এ কথা কে ভাবে বোল।

মা মাগো , জীবনের কোন কিছু না বুঝে কি এক দোজখের পথে পা বাড়িয়েছি । জানি না কোন দিন তোমার কাছে আমার এই চুরি করে লেখা ইমেইল পৌঁছাবে কিনা?

মা মা মাগো , তুমি তো জানো , আজ জখন এই মেইল লিখছি তখন আর মাত্র এক দিন পরে আমার বয়স হবে মাত্র ২০ বছর ।

মা বলত এই ২০ বছরে আমি জীবনের কি বুঝি যে আমাকে দিয়ে শরিয়া আইন প্রতিশঠা করবে। তোমরা সবাই ভাবো কেন ২০ বা ২২ বছরের ছেলেদের এরা বেছে নেয় । কারণ কোন নাদান বেকুব ছাড়া কেউ এ পথে আসবেনা ।

মা মা এই মাত্র ২০ বছর বয়সে আমায় তোমায় ছেড়ে , শামীয়া  ছেড়ে , পৃথিবী ছেড়ে চলে জেতে হচ্ছে । এ আমার পাপের সাজা।

হয়তো কোন দিন কোন কাগজে, কোন টীভীতে , তোমার ভালোবাসার ধনের মরা মুখ দেখবে।

তুমি ভাববে তোমার ছেলে মরে গেছে , সারা পৃথিবী ভাববে তোমার ছেলে মরে গেছে , পুলিশ ভাববে আমি মরে গেছি, আসলে কি জানো মা , আমি জানবো , আমার মতো শত আই এস ভাই জানবে যে আমি আসলে বেঁচে গেছি আই এস এর হাত থেকে। আই এস এর হাত থেকে বেচে গেছি।       

অবসরের ঢাকা

By On 4:52:00 AM

অন্যতম জনবস্হল শহর এ ঢাকা। নিত্যদিনের কমচান্বল্য যেন মুখরিত থাকে। এ শহরে কি দিন, কি রাত ছোটাছুটি চলছে ব্যস্ত এ মানুষগুলোর। কেও যাচ্ছে কাজে কেও বা ফিরছে কাজে। আবার কেওরা আসছে। এ জাদুর শহরে অবশ্য প্রতিটি দিন যে এরকম যাবে তা কিন্তু নয়। বিনোদনের জন্যে তারা খুজে নেয় এমন একটি জায়গা যেখানে নেই কোলাহল। নেই মানুষের ছোটাছুটি।

Tuesday, September 6, 2016

ভারতীয় গরুর দরকার নেই, দেশী গরুতেই কোরবানীর চাহিতে মিটছে – সাবাশ বাংলাদেশ!

By On 11:25:00 PM

অনেক রাখঢাক করে প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারত তাদের দেশের গরু বাংলাদেশে পাঠানো বন্ধ করেছিল। প্রায় ২ বছর হতে চলল বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় গরু আসেনা। কিন্তু তা সত্তেও বাংলাদেশের বাজারে গরুর অভাব নেই। দেশী গরু দিয়েই মেটানো হচ্ছে সব চাহিদা। বরং ভারতীয়রা তাদের গরু পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশের এক রকম উপকারই করল ( তারা সেটা চেয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে)। সেটি হলো, বাংলাদেশ থেকেই উদ্যোক্তরা নিজেরাই ফার্ম করে গরু উতপাদন করেছে আর সবাই ভাল করেই জানেন, দেশী গরুর মাংসের স্বাদই আলাদা।

এখন পর্যন্ত কোরবানীর গরুর যতগুলো হাট বসেছে, সবখানেই দেশী গরুতে সয়লাব। গরুর তেমন একটা অভাব নেই। দাম একটু হয়তো বাড়তি কিছু কিছু জায়গায় – কিন্তু দেশী গরু দাম কোন কালে কম ছিল! ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হবার পরে বাংলাদেশে গরুর খামার অনেক বেড়েছে। এবং তা দিয়ে দেশীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব। বাইরে থেকে গরু আমদানী করার প্রয়োজনই পড়বে না। আর তাছাড়া কোরবানীর সময়ে আগে ২৫% গরু আসত ভারত থেকে। এমন না যে একেবারে ৫০%। সেই ক্ষতি আমরা নিজেরাই পুষিয়ে নিয়েছি। বরং লাভের উপর লাভ হয়েছে। নিজেদের প্রচুর খামার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ স্বাবলম্বী হতে পারে – এর চাইতে বড় উদাহরন আর হতে পারে না।

তবে মনের কোনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় সবসময় – ভারত কেমন বন্ধু বাংলাদেশের? প্রতিবেশী রাষ্ট্র, বন্ধুপ্রতিম দেশ, রাষ্ট্রীয় আত্মীয়তা, বড় বড় বুলি, বর্ডারে তাদের “আথিতিয়েতা”, নদীতে নদীতে বাঁধ, ক্রিকেটে তাদের কার্যকলাপ – এসব কিছুই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয় মনে। উত্তর তো পাই না। আপনাদের আছে কি সেই কাঙ্খিত উত্তর?

রমনা উদ্যান

By On 10:31:00 PM

১৬১০ সালে মোঘল আমলে প্রতিষ্টা করা হয় রমনা উদ্যান। এ সুবিশাল উদ্যান শহরের রমনা এলাকায় অবস্হিত।

ফেসবুক নিয়ে মাজার গল্প

By On 4:48:00 AM
ওই দেখা যায় Facebook,
ওই আমাদের Job...
ওই খানেতে বাস করে বন্ধুরা সব।
ওই বন্ধু
তুই চাস কি..?
লাইক কমেন্ট pas কি..?
মিথ্যা কথা কইনা.....
তোদের পোস্ট
পাইনা....... একটা যদি পাই।
অমনি করে
like & comment কইরা যাই..........?

Monday, September 5, 2016

ভ্যাম্পায়ার কি আমরা কেউ কি যানি ?

By On 8:21:00 PM

ওটা প্রকাশ করবার সময় এখনো আসেনি ভায়া। মটিলডা ব্রিগস একটা জাহাজের নাম। সুমাএার দানব ইদুরের রহস্য ওই নামের সঈে জড়িত। কিন্তু ভ্যাম্পায়ার হল নিতান্তই পাগল লোকের কল্পনা___রূপকথার গল্প_____
      বলতে নিদর্শিকা_গ্রন্হের ডি__ভল্যুমটা তাক থেকে নামিয়ে নিয়ে পাতা ওল্টালো হোমস।
এই যে পাওয়া গেছে__ভ্যাম্পায়ার__দেখা যাচ্ছে হাঙ্গারিতে, ট্রানসিনসিলভানিয়াতে ভ্যাম্পায়ারের উংপাত হয়েছিল।
    কফিনের মড়া ভ্যাম্পায়ার হয়ে যেত। সে কারণে ওসব মড়ার হৃংপিগুে কাঠের গোঁজ ঠুকে দেওয়া হত। রাবিশ।  উন্মও মন্তিন্কের কল্পনা ছাড়া আর কি এসব বল?
__কিন্ত, যেীবন অটুট রাখার জন্য জ্যান্ত মানুষরাও যে অল্প বয়সীদের রক্ত শুষে খেতো একসময় তেমন ঘটনাও তো যথেষ্টই শোনা গেছে।
___সেসব লৌকিক কাহিনী এতেও দেওয়া আছে। অবাস্তব সব গল্প। কিন্তু মি. ফাগূসন___ওঃ এইতো দেখছি আর একটা চিঠি__দেখা যাক___হয়তো উনিই লিখেছেন।
  ছোকরা চাকর এসময় নিয়ে এল একটা চিঠি।
আগ্রহের সঙ্গে দ্বিতীয় চিঠিটা খুলে পড়ল হোমস্।---হ্যা,  মিষ্টার ফাগুসনেরই লেখা,
পড়ে দেখ। চিন্তান্বিত মখে চিঠিটা বাড়িয়ে দিলে হোমস্। লেখাটা এরকমঃ প্রিয় মিষ্টার
হোমস,
       আমরা উকিলের পরামশে আপনাকে এই চিঠি লিখেছি আমি। সমস্যটা আমার এক বন্ধুর। ঘটনাটা অসাধারন_ব্যক্তিগতও
বটে। বন্ধুটি বছর পাঁচেক আগে এক পেরুভিয়ান মহিলাকে বিয়ে করেন।
   মহিলাটি অসাধারণ সুন্দরী। ভিনদেশী, ভিন্নধমীর হলেও স্বামীকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসেন তিনি। কিন্তু স্বামী ভদ্রলোক মহিলাকে যেন ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা। ফলে এমশই দুজনের মধ্যে একটা ব্যবধান গড়ে উঠছে।
 কেসটা নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করবার আগে কিছুটা আভাস দিয়ে রাখতে চাই।
      ভদ্রমহিলার স্বভাব খুবই নম্র, মনটাও ভাল।
পতিভন্তির তুলনা হয় না।
কিন্তু সম্প্রতি অদ্রুতভাবে ____স্বভাব বিরুদ্ধ কিছু ঘটনা তিনি ঘটিয়ে ফেলছেন।
     ভদ্রলোক আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। আগের পক্ষের বছর পনের বয়সের একটা ছেলে আছে।
বড় মিষ্টি স্বভাবের ছেলে। ছেলেবেলায় একটা দুঘটনার ফলে শরীরে একটা খুত
পড়েছে।
এই ছেলের ওপরেও সংমা দু'দুবার আএমণ চালিয়েছেন----একবার লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়েছিলেন।
কিছু মাস খানেক আগে বছরখানেক বয়সের নিজের ছেলের সঙ্গে যে ব্যবহার করছেন তা খুবই নৃশংস।
       শিশুটিকে কিছুক্ষণের জন্য একলা রেখে ধাইমা পাশের অন্য কাজ করছিল। হঠাং কান্না শুনে এসে দেখে ভদ্রমহিলা ঝুকে পড়ে শিশুটির ঘাড়ে কামড় বসাচ্ছেন।
ঘাড়ে একটা ছোট্র ক্ষত থেকে তখনো রক্ত গড়াচ্ছিল। ধাইমা ঘাবড়ে গিয়ে ভদ্রলোককে খবর দিতে যাচ্ছিল।
কিন্তু ভদ্রমহিলা তাকে কাকুতি মিনতি করে নিরস্ত করেন। এমনকি পাচ পাইন্ড ঘুষও তাকে দেন মুখ বদ্ধ রাখার জন্য। ব্যাপরটা সে সময় আর জানাজানি হয় না।
ধামমা কিন্তু এই ঘটনার পর চোখে চোখে রাখেন থাকে শিশুটিকে। সে লক্ষ্য করে,
মা ও ছেলেটির ওপরে নজর রেখেছে, সুযোগ খুজছে তাকে একটু একলা পাবার জন্য।
একটা অসহায় শিশুকে নিয়ে যেন খেলা চলল দুজনের মধ্যে। স্বামী বেচারা এসবের কিছুই জানতেন না। কিন্তু সহসাই এমন ঘটনা ঘটর যে কিছুই আর ফাস হতে বাকি থাকল না।
         দিনের পর দিন এভাবে পাহারা দিয়ে ধাইমা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
         সে একদিন ভদ্রলোককে সব কথা খুলে বলে দিল।
    কিন্তু ভদ্রলোক বিশ্বাস করে উঠতে পারলেন না। এত বছর সংসার করছেন একসঙ্গে, সংছেলের ওপরে মারধরের ব্যাপার ছাড়া আর কোন নৃশংসতা কখনো মহিলার মধ্যে দেখেন নি তিনি।
   ভদ্রলোক যখন ধাইমার সঙ্গে নিভৃতে কথা বলছিলেন, শিশুটি সে সময় একা ছিল।
     হঠাং কাকিয়ে কেদে উঠল।
দুজনেই ছুটে গেলেন ঘরে। কিন্তু ঘরে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলেন, চোখে না দেখলে তা বিশ্বাস করা শক্ত।
     ভদ্রলোক স্বচক্ষে দেখলেন, খাটের পাশে বসে বউ নিজের ছেলের ঘাড় কামড়ে রয়েছেন।
     ছেলের ঘাড় আর বিছানার চাদর রক্তে মাখামাখি। আতস্কে চিংকার করে ছুটে গিয়ে বউকে সরিয়ে আনতেই দেখতে পেলেন তার দুই ঠোটে রক্ত লেগে রয়েছে।
ভদ্রমহিলা যে নিজের পটের সন্তানের রক্ত পান করছিলেন তাতে আর কোন সন্দেহই রইল না।
মি. হোমস্, এই ঘটনা দেখার পর ভদ্রলোকের মানসিক অবস্থা একবার কল্পনা করুন।
    তার অবস্থা এখন উন্মওের মত।
ভদ্রমহিলা এমন পৈশাচিক কাজের কোন কারণ বলেন নি। তাকে এখন ছেলেটির কাছ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
   ভ্যাম্পায়ার সম্পকে আমি কিছু জানি না। আমার বন্ধুটিরও কোন ধারণা নেই। ব্যাপারটা উপকথার মন-গড়া বিষয় বলেই মনে করতাম আমরা। কিন্তু খোদ লন্ডনের মাটিতেই দেখছি ভ্যাম্পায়ারের আবিভাব ঘটল।