Enter your keyword

বিশ্বের প্রতি প্রন্তরে বাংলার মুখ

Thursday, July 14, 2016

By On 3:10:00 PM

সাবধান! বাংলাদেশ! আসছে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প!



ইতিমধে ন্যাশনাল জিওগ্রাফী এবং আরও অনেক গবেষনা প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক এলার্ট সম্পর্কে আপনারা জানেন। নয় মাত্রার একটি ভূমিকম্প যেকোন মূহুর্তে আমাদের এখানে হতে পারে এবং এতে ১৪ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৯ মাত্রার ভূমিকম্প কিন্তু যা তা কথা না। একটা জনপদকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া সম্ভব বিশেষ করে সেই জনপদ বা শহরটি যদি অপরিকল্পিত অবস্থায় গড়ে উঠে। আর আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে ঠিক কতটা পরিকল্পিত নগরায়ন করা হয়ে তা আমরা সবাই কমবেশী জানি। সামান্য ২ ইঞ্ছি ফাক রাখতেও আমাদের গায়ে লাগে। পারি না একটা বিল্ডিং এর উপর আরেকটা বিল্ডিং তুলে দিতে। আর এভাবে করেই যুগ যুগ ধরে আমরা গড়ে তুলেছি আমাদের শহরগুলো এবং এখনো করে যাচ্ছি। একরকম নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরে গেছি এতদিন। তো, একটু বিশ্লেষন করে দেখা যাক এই ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আসলে কতটা ভয়াবহ।

বাংলাদেশের নীচে দুটি টেকটোনিক প্লেট পরস্পরের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। সাধারনত এধরনের ভূমিকম্প আমরা সমুদ্রের অভ্যন্তরেই দেখে এসেছি। কিন্তু ভূমিতে এটাই প্রথম আর তাই বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এর আগে একই ধরনের ভূমিকম্প হয়েছিল সমুদ্রে যা সৃষ্টি করেছিল সুনামি। এতে মারা গিয়েছিল ২,৩০,০০০ মানুষ (২০০৪) আর ২০১১ সালে হয়েছিল জাপানে যেখানে মারা গিয়েছিল ২০,০০০ মানুষ। এ সবই হয়েছে সমুদ্রে। কিন্তু এবার এই আশংকা দেখা দিয়েছে সরাসরি ভূখন্ডে যে কারনে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। যখনই কম্পন শুরু হবে প্লেট মুভমেন্টের কারনে, তখন সেই ভূমিকম্পের মাত্রা হবে নূন্যতম ৮.২ থেকে ৯.০ পর্যন্ত। আর ঢাকা চট্টগ্রামের মত ঘনবসতি পূর্ন এলাকায় এধরনের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা মারাতম বিপর্যয় টেনে আনবে – এব্যাপারে বিজ্ঞানীরা প্রায় নিশ্চিত। একটি রিখটার স্কেলের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকে ১০। আর সর্বনিম্ন থাকে ১। ১.০ থেকে ২.০ শুন্যের তীব্রতা ১০ গুন বেশী। প্ররথাত প্রতিটি স্কেলের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে তার তীব্রতা বাড়ে পূর্বের স্কেলের ১০গুন।>প্রকাশ ঝা নামক একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, ৯.০ রিখটার স্কেলের একটি ভূমিকম্প ২৫,০০০ নিউক্লিয়ার বোমার সমপরিমান শক্তিশালী। যেখানে হবে তার ১০০ কিমি বা তারও বেশী রেডিয়াসের মধ্যে সবকিছুই প্রায় ধব্বংসের কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এর আগে এই মাত্রার ভূমিকম্প সমুদ্রে হয়েছিল, ভূখন্ডে নয়। সমুদ্রে হলে সুনামি হয়, কিন্তু ভূ-খন্ডে ঠিক কিভাবে ক্ষয়ক্ষতি হবে এ ব্যাপারে পৃথিবী এখনও অনভিজ্ঞ। ভূমিকম্পের ইফেক্টটা অনেকটা একটা পুকুরে পাথর ছুড়ে মারার পর যে রিপল ইফেক্ট হয় তার মত। অর্থাৎ ভূমিকম্পের তীব্রতা যত বেশী হবে এই রিপল ইফেক্ট তত বেশী জায়গা নিয়ে আরো বেশী স্থান ধ্বংস করবে। ভূমিকম্পের মাত্রার উপর ডিপেন্ড করে ভূমিকম্পটি কতক্ষন ধরে হবে আর ভূমিকম্প কতক্ষন ধরে হবে তার উপর নির্ভর করবে ভূমিকম্পটি কতদূর পর্যন্ত ক্ষতি করবে। মাত্রা যত বেশী, স্থায়িত্ব তত বেশী।

এখন প্রশ্ন হলো আমরা কতটুকু প্রস্তুত? আমার মতে “মোটেই না”। এই ভূমিকম্প এখন হবে নাকি আগামী ৫০০ বছরের মধ্যে হবে সেটা আমরা কেউ জানিনা। এমনকি এই আর্টিকেল লিখতে লিখতেও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকব। যদি বাচতে চায়, তাহলে অনেক কিছু ঠিক করার আছে। তবে মনে হয় সবার আগে দরকার হবে বিশাল বিশাল সব নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের। কারন রাতারাতি যেমন পুরো শহরকে মেরামত করে সব পরিকল্পিত করে বিল্ডিং এর নীচে স্প্রিং লাগানো যাবে না তেমনি আইন মেনে বাড়ি বানানোতে খুব কম মানুষকে বাধ্য করা যাবে আমাদের মত দেশে যেখানে টেবিলের নীচে টাকা দিলে যেকোন বিল পাস হয়ে যায়, যেকোন বিল্ডিং প্ল্যান পাশ হয়ে যায়। আর দেশের মানুষকে হাজার বোঝালেও কজনে বুঝতে চায়। আসলে বুঝে সবাই, কিন্তু বুঝেও না বুঝার ভান করে অথবা যে জিনিষ দেখিনি সেটিকে পাত্তা না দিলেও চলে টাইপের একটা ভাব তো বরাবরই আমাদের আছে। তাই অন্তত আমাদের দেশে মানুষকে বুঝিয়ে মনে হয় না কোন লাভ আছে। যদি সরকার চায় এনফোর্স করতে তাহলে হয়তো কিছু একটা হবে। রীতিমত বাধ্য করতে পারলে তাহলে হয়তো ঠিক হবে। তাও অনেক সময়ের প্রয়োজন। তাই, এখন বড় বড় বিশাল সব নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা উচিত বাংলাদেশে যেগুলো ভূমিকম্প সহনশীল হবে আর বিপদে পড়া মানুষগুলো সেখানে আশ্রয় পাবে। আর যদি একবার ভূমিকম্প হয়, তাহলে হয়তো নিরাপদে যাওয়ার আগে অনেক মানুষ ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে দিতেই ভিক্টিম হয়ে যাবে। এটা আবার আমাদের হালনাগাদ ফ্যাশন।
তবে নাগরিক মতামত খুব গুরুত্বপূর্ন । এখন পর্যন্ত দেখলাম না এ ব্যাপারে কোন নিরাপত্তা মূলক কোন স্টেপ নিতে আর সত্যি কথা বলতে এই ব্যাপারে সবাই অনেক অনভিজ্ঞ। আপনাদের মতামত কি? কি ধরনের স্টেপ নেয়া উচিত ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা হলেও কমানোর জন্য। লংটার্ম এবং শর্টটার্ম – ২ ক্ষেত্রেই বলুন। কারন ভূমিকম্পটি কালও হতে পারে আবার ১০০ বছর পরও হতে পারে – কিন্তু হবেই। তাই এগুলো নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। ভূমিকম্পে পড়ব বলে অন্যকোন দেশ আমাদের আশ্রয় দিবে না। নিজেদেরটা নিজেদের করে নিতে হবে। তাই আপনাদের অপিনিয়ন গুলো জরুরী। কারন জান বাচানো ফরজ কাজ। নিরাপদে থাকুন।

By On 12:11:00 PM

শুধুমাত্র মুসলিমদেরকেই কেন 'সন্ত্রাসী' বলা হচ্ছে?


আজকালকার বিশ্ব মিডিয়া “মুসলিম” শব্দটাকে একটা বীভৎস রুপ দিয়েছে। শুধু মাত্র মুসলমান হবার জন্য একজন মানুষকে নানাভাবে হেয় করা হয়। নিজের অভিজ্ঞতা যদি বলতে যাই, তবে অনেক উদাহরন দেয়া যায়। যেমন একবার লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টে কোন কারন ছাড়া ৬ ঘন্টা আটকে রাখা কিংবা মেলবোর্ন কাপের উদ্বোধনে ঢুকতে যাওয়ার সময় অন্যদের সাধারন নিরাপত্তা চেক করা হলেও নিজের আইডিতে মুসলমান নাম থাকার কারনে একটু ‘স্পেশাল’ চেক বা বেশী সময় নিয়ে চেক করা তো অহরহ ঘটনা হয়ে গেছে। পাসপোর্ট বা নাগরিক যে দেশেরই হই না কেন। আর মুসলিম দেশের পাসপোর্ট হোল্ডার হলে তো সে এক বিভীষিকা! ট্রেনে বা স্টেশনে মাথায় টুপি পড়া কাউকে দেখলে তো পশ্চিমা দেশ এমনকি অনেক মুসলিম প্রধান দেশেও মানুষ আঁতকে ওঠে! মুসলমানদের ব্র্যান্ডিং এমনভাবেই করা হয়েছে গত কয়েক যুগ ধরে। তবে ইতিহাস ঘাটলে হিসেবটা কেমন জানি গোলমেলে ঠেকে।


ইতিহাস বই ঘাটলে দেখা যায়, পৃথিবীর সব নৃশংসতম ঘটনাগুলোতে মুসলমানদের তেমন কোন হাতই নেয়। কখনও শুনেছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মুসলমানরা কিছু করেছে বা তার পরের যুদ্ধে? মুসলমানরা কি কোনদিন কোথাও পারমানবিক বিস্ফোরন ঘটিয়েছে? কই না তো! তবে মুসলমানদের দেশগুলোকে কোনভাবেই পারমানবিক শক্তির অংশ হতে দেওয়া হয় না কারন যদি ফাটিয়ে দেয়! কিন্তু কারা এগুলো ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে তা ইতিহাস ঘাটলেই বোঝা যায়। হিটলার কি মুসলিম ছিল নাকি? কই শুনি নাই তো? হিরোশিমা বা নাগাসাকিতে কে আনবিক বোমা ব্যবহার করেছিল? বা হলোকাস্ট কাদের কাজ?
বাদ দিলাম যুদ্ধের কথা। পৃথিবীর পরিবেশগত এ দুরবস্থার কারন কি? নানা রকমের এই দূষণগুলো কোথা থেকে শুরু হয়েছিল? ক্যাপিটালিজম এর কারনেই তো আজকের গ্রীন-হাউজ ইফেক্ট। এই ক্যাপিটালিজমে কারা বিশ্বাসী? মুসলমানরা? কই না তো? আচ্ছা ব্রিটিশরা কি করেছিল শত শত বছর ধরে? শাসন আর শোষন এমনকি আমাদের এই প্রান্তেও! ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কথা কি কারো মনে নেই নাকি?


তাহলে মুসলমানদের ওপর চড়াও কেন বিশ্বের একটি বিশাল অংশ। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কেন? খেয়াল করে দেখুন – প্যালেস্টাইনের উপর কি মারাত্মক বর্বরতা চলে আসছে আজ কত বছর ধরে। কই? ইসরায়েলিদের তো সন্ত্রাসী নাম দেয়ার চেস্টা হচ্ছে না। বরং তাদের সাপোর্ট করার জন্য উল্টো নানা বিশ্ব কনফারেন্সে চাপ প্রয়োগ করা হয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোর উপর।

টুইন টাওয়ার হামলার পর কি জানি হয়ে গেল পুরো দুনিয়াতে। টুইন টাওয়ারে মারা গিয়েছিল হাজার খানেক মানুষ। আর টুইন টাওয়ারের হামলার পর পর যেসব যুদ্ধ হয়েছে, তাতে মারা গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেই সুবাদে শত শত তেলের খনির মালিকানা চলে যায় যুদ্দবাজদের কাছে। পশ্চিমা দেশগুলো মোটামুটি ভাগাভাগি করেই সেই বিশাল সম্পদের ভাগ-বন্টন করেছিল এবং এখনও করে যাচ্ছে। অস্ত্রের বাজারও বেশ চাঙ্গা। যুদ্ধ অনেক জনপদের উপর নির্মমতা টেনে আনলেও কিছু দেশের জন্য আশির্বাদের মত বিশেষ করে অস্ত্রের বিক্রির উপর যাদের অর্থনীতি নির্ভর করে। আল-কায়েদা, আই এস এগুলো তো তাদেরই সৃষ্টি। কিন্তু সেটা তারা সরাসরি শিকার করে না। জোর জার মুল্লুক তার – এখনকার পৃথিবীতে এটাই হচ্ছে। আর মুসলমানরা এখানে হয়ে গেছে একটা বিজনেস মডেলের অংশ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অর্থ-প্রাচুর্যের অভাব নেই কিন্তু সেখানকার মুসলমানরা তেমন একটা শিক্ষিত হয় না। অনেক আগে মুসলমানরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে পারদর্শী হলেও এখনকার মধ্যপ্রাচ্যের শেখরা শুধু সম্পদের খরচে ব্যস্ত। প্রচুর অর্থ প্রাচুর্যে থাকার কারনে তারা কোনদিনও নিজেদের আরাম আয়েস ছাড়া অন্যকিছুতে মনযোগ দিতে পারে নি। রাজনীতি, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, কন্সপিরেসি এসবের থোড়াই কেয়ার করে। আর এসবের সুযোগগুলো বুদ্ধিমান দেশগুলো বেশ ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছে।

আপনি জানেন, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের উপমহাদেশের কেউ কোন কাজে গেলে বা জীবিকা নির্বাহ করতে গেলে তাদের কি বলে সম্বোধন করে? “মিসকিন” বলে। কতটা অপদার্থ হলে তারা এসব করতে পারে বা বলতে পারে? কতটা অশিক্ষিত হলে তারা এগুলো করতে পারে? গরীবদের তারা ঠিক মানুষ মনে করে না, মনে করে মিসকিন। যাদের চিন্তাভাবনা এমন, তাদের আর কি বা বুদ্ধি থাকতে পারে? বাংলাদেশী শ্রমিকরা কিন্তু কম অত্যাচারিত হয় না মধ্যপ্রাচ্যে। রেসিজম কি সেটা সেখানে গেলেই ভালই টের পাওয়া যায়। তবে হাতে যদি আমেরিকা বা অস্ট্রেলীয়ার পাসপোর্ট থাকে, তবে এসব আরবী শেখরাই আপনাকে খাতির করতে করতে মুখ দিয়ে ফেনা বের করে ফেলবে।

নানা দেশের মুসলমানদের মধ্যে আসলে কোন ইউনিটি নেই তেমন। যেমনটা আছে অন্যান্য দেশের অন্যান ধর্মালম্বীদের মাঝে। আমরা আমাদেরকেই মারতে ব্যস্ত থাকি। আর আমাদের অজ্ঞতার কারনেই দুষ্ট পক্ষ সৃষ্টি করে আইএস, আল-কায়েদা বা আরও নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আর এরা মূলত মুসলমানদেরই আগে মারে। হয় নামে না হয় প্রানে। ইউনিটির বদলে আজ মুসলমানদের মাঝে হাজারো বিভেদ। আর এই বিভেদ দিন দিন মুসলমানদের দুর্বল আর কোনঠাসা করে দিচ্ছে। যত ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে এতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি মুসলমানদেরই হচ্ছে – জানে এবং মালে। নতুন করে তৈরী হচ্ছে বিভেদ। নতুন করে তৈরী হচ্ছে দেয়াল। এককালের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র আজ একজন আরেকজনের শত্রু। এসবের আচ এসে লাগছে এখন আমাদের দেশেও। কারন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশ। আঁচ তো লাগবেই। এখানেও গড়ে উঠছে এসব সন্ত্রাসীদের আস্তানা। কিন্তু এরা তো আসলে ক্ষমতাধর দেশগুলোর এজেন্ট ছাড়া কিছুই না।

আমরা মুসলমানরা এক কালে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি – সবকিছুতে এগিয়ে থাকলেও আজকের চিত্র দেখুন। কোথায় পড়ে আছি আমরা। নিজেদের মাঝে যুদ্ধ করতে করতেই আমরা হয়রান। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা আর কি করব। আর এই সুযোগের সদব্যহার করছে অন্যরা – যে যেভাবে পারে। কেউ যুদ্ধ লাগিয়ে আবার কেউ বন্ধু হয়ে। এখন যদি কোন দেশ খ্রিস্টান বা অন্য কোন ধর্মের মানুষজনকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়, তাহলে দেখবেন পুরো পৃথিবী থেকে প্রতিবাদ হবে – ইন্টেলেকচুয়াল পদ্ধতিতে। হাতাহাতি করে না বা গালি দিয়ে না। নিজেদের প্রেস্টিজ তারা কোনদিন নামতে দিবে না। কিন্তু যখন আমাদের দেয়া হয়, তখন আমরা কেউ কেয়ার করি, বাকীরা পাত্তাই দেই না। কারন আমাদের মাঝে এখন হয়ে গেছে হাজারো ভাগ।

ধর্ম মানুষের জন্য। মানুষ ধর্মের জন্য না। পৃথিবীতে সব ধর্মের স্থান আছে আর সব ধর্মের মানুষের বেচে থাকার অধিকার আছে। সম্পর্ক হতে হবে মানুষে মানুষে। ধর্মে ধর্মে না। কিন্তু আজ ধর্মটাই অনেকের কাছে বিশাল একটা ব্যবসা হয়ে গেছে। একজন মুসলমানকে সন্ত্রাসী বলে সম্বোধন করা এখন শুধু রেসিজম না, এটা একটা বিজনেস মডেল! ঠিক একই রকমভাবে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে কিছু বলা বা আক্রমন করাও কোন ধর্মযুদ্ধ না – একটা ব্যবসায়িক উদ্যোগ মাত্র।

দুঃখ একটাই, অন্য সবাই ভাল ব্যবসায়ী হলে গেলেও, আমরা মুসলমানরা ভাল ব্যবসায়ী হতে পারি নি। কারন আমরা নিজেদেরই আগে বিক্রি করতে উঠে পড়ে লেগে থাকি। এমনই চলতে থাকবে আরো শত বছর যদি না পরিবর্তনটা আমাদের ভেতর থেকে না হয়। কিন্তু সেটা আর কোথায় হলো!